রাঙামাটি প্রতিনিধি : পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে, তা এখানকার সকল মানুষের কল্যাণের জন্য বলে মন্তব্য করেছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) অনুপ কুমার চাকমা।
রবিবার (১৬ মার্চ) পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে শিক্ষাবৃত্তি, সম্মাননা প্রদান, বিদায়ী সংবর্ধনা ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুর রশিদ বুলবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা (যুগ্ম সচিব), সদস্য (পরিকল্পনা) সুমন বড়ুয়া (উপসচিব), সদস্য (অর্থ) জসীম উদ্দিন (উপসচিব), সদস্য (প্রশাসন) সুজন চৌধুরী (উপসচিব) ও সদস্য (বাস্তবায়ন) মো. জাহিদ ইকবাল (উপসচিব)।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান শেষে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল বড়ুয়া।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, “পরিষদের অধীন যারা আজ পুরস্কৃত হয়েছেন, তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আবাসন সমস্যা শুধু এই প্রতিষ্ঠানের নয়, এটি সরকারি অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই বিদ্যমান। তবে সরকার চেষ্টা করছে এসব সমস্যা সমাধানে।’”
তিনি আরও বলেন, “অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানে পেনশন নেই, তবে গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়। একইভাবে যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে পদ সৃষ্টি না থাকে, তবে পদোন্নতির সুযোগও থাকে না। সামরিক বাহিনীতেও অনেকে পদোন্নতি পান না, কারণ সেখানেও নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দায়িত্ব পালন করতে হয়। আপনারাও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন, আমি সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করব।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা বলেন, “আমি অভিভূত যে প্রাক্তনদের যথাযথ সম্মান জানানো হচ্ছে। কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সম্মান দেখানো উচিত। সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকার আইন করেছে, যাতে কেউ তথ্য গোপন করলে বিভাগীয় শাস্তি এবং অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সেকশন কর্মকর্তারা ৭২ ঘণ্টার বেশি কোনো ফাইল আটকে রাখতে পারেন না। তাই আমি ‘পিলো পাসিং’ ধারণাকে ভালোবাসি, যাতে দ্রুত দায়িত্ব হস্তান্তর করা যায়।”
এর আগে প্রধান অতিথিসহ বিশেষ অতিথিরা কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের বার্ষিক শিক্ষাবৃত্তি, শিক্ষা প্রণোদনা, সম্মাননা প্রদান ও বিদায়ী সংবর্ধনা দেন।
এছাড়া, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ধর্মীয় আচার হিসেবে কোরআন তেলাওয়াত, ত্রিপিটক পাঠ ও গীতা পাঠ করা হয়।