বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ইসলামের দৃষ্টিতে পবিত্র জুমা ও জুমাবারের রাত-দিন অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ। জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জুমার দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মুসল্লিদের জন্য জুমার নামাজে হেঁটে উপস্থিত হওয়া উত্তম ও ফজিলতপূর্ণ।
ইয়াজিদ ইবনে আবু মারইয়াম (রহ.) থেকে বর্ণিত, আবায়া ইবনে রাফি (রহ.) আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন, তখন আমি জুমার নামাজ আদায়ের জন্য যাচ্ছিলাম।
তিনি বলেন, সুসংবাদ গ্রহণ করুন। আপনার এই পদক্ষেপ হচ্ছে আল্লাহর পথে। আমি আবু আবস (রা.)-কে বলতে শুনেছি যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির দুই পায়ে আল্লাহর পথে ধূলি-ধূসরিত হয়, সে জাহান্নামের জন্য হারাম হয়ে যায়। ’ (নাসায়ি, হাদিস : ৩১১৬)
শুধু তাই নয়, মহানবী (সা.)-এর নির্দেশনা মোতাবেক জুমার দিনের আমলগুলো করে মসজিদে রওনা হলে প্রতি পদক্ষেপে এক বছর আমল করার সওয়াব লিখে দেওয়া হয়। আওস ইবনে আওস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে মাথা ও শরীর ধুয়ে উত্তমরূপে গোসল করে জুমার সময়ের প্রথম সময়েই মসজিদে যায়, কোনো বাহনে আরোহণ না করে হেঁটেই মসজিদে যায় এবং ইমামের নিকটবর্তী হয়ে বসে, নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শুনে ও কোনো অনর্থক কাজ না করে, তার জন্য প্রত্যেক পদক্ষেপে এক বছর আমল করার সওয়াব হবে। ’ (নাসায়ি, হাদিস : ১৩৮৪)
সুবহানাল্লাহ, শুধু জুমার দিনই নয়, অন্য দিনও হেঁটে মসজিদে যাওয়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। তাই কোনো কোনো সাহাবি ইচ্ছেকৃত মসজিদ দূরে বসবাস করে হেঁটে মসজিদে আসার নজির পাওয়া যায়। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, উবাই ইবনে কাআব (রা.) বলেন, আমি জনৈক লোক সম্পর্কে জানি, যার বাড়ি অপেক্ষা কারো বাড়ি মসজিদ থেকে অধিক দূরে ছিল বলে আমার জানা নেই। তিনি প্রতি ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে পড়তেন (কখনো জামাত তরক করতেন না)।
উবাই ইবনে কাআব বলেন, তাকে বলা হলো অথবা (বর্ণনাকারী আবু উসমান নাহদির সন্দেহ) আমি বললাম, যদি তুমি একটি গাধা কিনে নাও এবং তার পিঠে আরোহণ করে রাতের অন্ধকারে এবং রোদের মধ্যে নামাজ আদায় করতে আসো তাহলে তো বেশ ভালোই হয়।
এ কথা শুনে সে বলল, আমার বাড়ি মাসজিদের পাশে হোক তা আমি পছন্দ করি না। আমি চাই মাসজিদে হেঁটে আসা এবং মাসজিদে থেকে ঘরে আমার পরিবার-পরিজনের কাছে যাওয়ার প্রতিটি পদক্ষেপ আমার জন্য (আমালনামায়) লিপিবদ্ধ হোক।
তার এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহ তায়ালা তোমার জন্য অনুরূপ সাওয়াবই একত্র করে রেখেছেন। (মুসলিম, হাদিস : ১৪০০)