1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আমরা এখন পর্যন্ত গণতন্ত্র ফিরে পাইনি- ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল বিএনপি জেলা সভাপতি সাদিক দিল, কুরআন পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ উপহার আটকে পড়া অজগর সাপ কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত গুম-খুনের শিকার ও চব্বিশের শহীদ পরিবারকে ঈদ উপহার দিলেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক নাগরপুরে ঈদ সামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করলেন ডা.এম.এ.মান্নান বেইজিংয়ে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক আজ লামা উপজেলায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত – জনগনের সরকারের মাধ্যমেই দেশকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো সম্ভব- আমিনুল হক ঠাকুরগাঁওয়ে পাটচাষিদের বিনামূল্যে বীজ-সার বিতরণের উদ্বোধন স্বয় সম্বলহীন স্বজন হারা প্রতিবন্ধি রাকিবের পাশে সেনাবাহিনী

পৃথিবীর রহস্যময় পাঁচটি স্থান

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ২৯৮ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: দুনিয়ায় এমন কিছু জায়গা আছে, বিজ্ঞান যেখানে থমকে আছে।ওইসব স্থানে এমন কিছু অলৌকক বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে, বিজ্ঞানের কোনো সূত্র দিয়েই যার বাখ্যা দেওয়া সম্ভব হয়নি। রহস্যময় ও্ই জায়গাগুলো থেকে মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতেই পরামর্শ দেওয়া হয়। আসুন, চোখ রাখি বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় পাঁচটি জায়গায়-

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ব্রাদার আইল্যান্ড

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের নিকটবর্তী একটি দ্বীপ নর্থ ব্রাদার আইল্যান্ড। দ্বীপটিতে বর্তমানে নেই কোনো জনবসতি। পুরো এলাকাটি আজ পরিত্যক্ত। সেখানকার সব ঘর-বাড়ি পরিত্যক্ত হওয়ায় পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ সেখানে। তবে একসময় প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ভরপুর এই দ্বীপে কোলাহল ছিল, লোকালয় ছিল। একাধিক অজানা মহামারিতে দলে দলে মারা গেছে এই দ্বীপের বাসিন্দারা। ১৬১৪ সালে নর্থ ব্রাদার আইল্যান্ড এক সংক্রমণ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এতে দ্বীপের প্রায় অর্ধেক বাসিন্দা মারা যায়। এরপর ১৮৮০ সালে আবার এ দ্বীপে অজানা রোগ ছড়িয়ে পড়ে প্রাণ হারায় বহু মানুষ। ১৯৪০ সালে এ অঞ্চলে ফের সংক্রমক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে। বহু মানুষ মারা যায়, আর বাকি বাসিন্দারা দ্বীপ ছেড়ে পালিয়ে যায়। মৃতদের সবাইকে এ দ্বীপেরই একস্থানে মর্গ বানিয়ে সংরক্ষিত রাখা হয়। ১৯৫১ সালে এই দ্বীপে মাদকাসক্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানেই হানা দেয় মৃত্যু। এই দ্বীপের মৃত বাসিন্দাদের অনেককে নাকি এখনো মাঝেমধ্যেই চলাফেরা করতে দেখা যায়, চোখের নিমিষেই তারা আবার হারিয়ে যায়। রহস্যজনক ও ভৌতিক নানা ঘটনার কারণে ১৯৬৩ সালে নর্থ ব্রাদার আইল্যান্ড পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এ স্থানটি এখন নিউ ইয়র্ক সিটি পার্কস এবং এন্টারটেইনমেন্ট বিভাগের সম্পত্তি নানা প্রজাতির পাখির অভয়ারণ্য।

মেক্সিকোর আইল্যান্ড অব দ্য ডল

মেক্সিকো সিটি থেকে ২৮ কি.মি. দূরে দক্ষিণে জোচিমিকো ক্যানালের মাঝেই এই দ্বীপটি উঁকি দিয়ে যায়। জোচিমিকো একটি কৃত্রিম দ্বীপ। অপার সৌন্দর্যে বেষ্টিত হলেও এই দ্বীপটি কিন্তু টুরিস্ট ভূমি হয়ে উঠতে পারেনি ঠিকমত। কারণ দ্বীপটি একদিকের যেমন নীলাভ ‍বিস্তৃত জলরাশির জন্য খ্যাত তেমনি অপর দিকে এই দ্বীপকে ঘিরে রয়েছে ভয়ঙ্কর অদ্ভুত সব কাহিনী যা দ্বীপটির নামকরণকে দিয়েছে স্বার্থকতা। কথিত আছে, মেক্সিকোর এই দ্বীপে একটি মেয়ে পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার পর ডন জুলিয়ান শান্তানা বারেরা নামে একজন লোক এই দ্বীপে বাস করতেন এবং তিনি জীবিত মেয়ের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য একটি গাছে পুতুল ঝুলিয়েছিলেন। কিন্তু রহস্যজনকভাবে দ্বীপটির গাছে গাছে নানা আকৃতির পুতুলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এই দ্বীপে ঘটতে থাকে অদ্ভুত যত ঘটনা। নির্জন দুপুরে বা একটু সন্ধ্যা নেমে আসলেই এই দ্বীপের অধিবাসীরা শুনতে পান এক কিশোরীর কান্নার ধ্বনি। কখনো হাসির আওয়াজ।ইউনেস্কো ১৯৮৭ সালেই চায়নাম্পাসকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করলেও ভূতুড়ে পুতুলের দরুন তা টুরিস্ট প্লেস হিসেবে জমজমাট হয়ে উঠতে পারেনি।

রাজস্থানের ভানগড়

রাজস্থানের আলবর জেলায় অবস্থিত ভানগড় কেল্লা এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে ভীতিকর স্থানগুলোর একটি। সন্ধ্যা ৬টার পর কেল্লার ভেতরে কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হয় না- এটা রীতিমতো সরকারি আদেশ। তাই বিকাল সাড়ে ৫টা থেকেই কেল্লার ভেতর থেকে পর্যটকদের বের করে দেওয়া শুরু করে নিরাপত্তাকর্মীরা- যাতে ভুলেও কেউ নির্দিষ্ট সময়ের পর সেখানে রয়ে না যায়। বলা হয়, গভীর রাতে এই কেল্লায় নর্তকীদের প্রেতাত্মার নাচসহ নানান অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটে যা স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে সহ্য করা অসম্ভব।বিশ্বের সেরা দশটি হন্টেড স্থানের একটি হিসেবে ধরা হয় ভানগড় কেল্লাকে। জানা গেছে, বার দুয়েক কিছু দুঃসাহসী সেখানে রাতের অন্ধকারে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু পরিণতি ভালো হয়নি তাদের। তেমনি দুই স্থানীয় দুঃসাহসী তরুণও সন্ধ্যা ঘনিয়ে যাওয়ার পর দুর্গের পাঁচিল টপকে ভেতরে ঢুকেছিল। কিন্তু তারা আর ফিরেনি। মারা গেছে কিনা তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শুধু তাদের আর কোনোদিন দেখা যায়নি কোথাও।

প্যারিসের ক্যাটাকম্ব

বিষ্ময়কর একটি স্থান প্যারিসের ক্যাটাকম্ব। এখানে হাজার হাজার কঙ্কালের খুলি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্যারিসের ক্যাটাকম্বের দেওয়াল। এক সময় গণকবর দেওয়া হত এখানে। এ ক্যাটাকম্বের পাশেই ছিল এক সমাধিস্থান। মৃতদেহের ভারে সমাধিস্থানটি ধসে পড়লে এ ক্যাটাকম্বের খোঁজ পায় বিশ্ব। ‘প্লেস দি গ্রেভে’র দাঙ্গায় নিহতদের এখানে কবর দেওয়া হয়েছিল। লোখমুখে প্রচলিত আছে- সপ্তদশ শতকে এ ক্যাটাকম্বের ভেতরে নিখোঁজ হয়ে যান এক ব্যক্তি। যার মৃতদেহ পাওয়া যায় ১১ বছর পর। অষ্টদশ শতকে রাজপরিবারের সদস্যদের হত্যা করে ফেলা হয়েছিল এখানে। রটনা রয়েছে, অতৃপ্ত আত্মাদের বাস ক্যাটাকম্বে। এ কারণে সেখানে প্রবেশ নিষেধ করেছে সরকার।

এরিয়া ফিফটি ওয়ান

যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডায় অবস্থিত এই জায়গাটি নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে কৌতুহল রয়েছে। এটা আপাতদৃষ্টিতে একটি মিলিটারি বেইজ এবং পৃথিবীর সবচেয়ে ‘সিকিউর; এলাকাগুলোর একটি। এর নিজস্ব এলাকার বাইরেও একটা বিশাল এলাকা জুড়ে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কী করা হয় ওখানে? বহু মানুষের ধারনা ওখানে ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে গবেষণা করা হয়।কেউ কেউ চাকতির মতো গোলাকার বস্তু যায়গাটার উপর উড়ে যেতে দেখেছেন। ওই জায়গায় এলিয়েনদের যাতায়াত আছে বলেও ধারণা অনেকের। প্রায় ৩০ লাখ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা এই এলাকার ভেতরে কী কাজ হয়, তা খুবই সতর্কতার সঙ্গে গোপণ রাখা হয়েঠে। এলাকাটির বাইরে সব সময় সতর্কতাসূচক সাইনবোর্ড, সিসি ক্যামেরা ও সশস্ত্র পাহারাদার থাকে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com