খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। আর বুধবার সেই পেঁয়াজ মানভেদে ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা বলছেন, এই সময়ে দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি ভারত থেকেও পেঁয়াজ আসত। কিন্তু কয়েক মাস ধরেই দেশটি থেকে পেঁয়াজ আসছে না। আবার পাবনা, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, মাগুরা, ফরিদপুরসহ যেসব জেলায় পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি হয়, সেসব এলাকার হাটে এখন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, যা বাজারে প্রভাব ফেলছে।
বাজার করতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবাই ৫ থেকে ১০ কেজি করে পেঁয়াজ কিনেছেন। এত পেঁয়াজ কেনার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, গত সপ্তাহে পেঁয়াজ কিনেছি ৫০ টাকা কেজি করে। আজ পেঁয়াজ কিনতে হলো ৬৫ টাকা কেজি করে। দোকানদার বলছেন, আগামী সপ্তাহে ১০০ টাকা কেজি দাম হতে পারে। তাই এক মাসের জন্য বেশি করে পেঁয়াজ কিনেছি।
শ্যামবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নারায়ণ সাহা বলেন, গত সপ্তাহে পেঁয়াজের পাইকারি দাম ছিল প্রতি কেজি ৩১-৩২ টাকা। গতকাল বিক্রি হয়েছে ৫০-৫১ টাকায়।
শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজেদ বলেন, সরকার আমদানির সুযোগ বন্ধ করে রেখেছে। আমদানির অনুমোদন দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। দিলে কয়েক দিনের মধ্যে দাম স্বাভাবিক হবে। আর যদি না দেয়, তাহলে দাম আরো বাড়বে।