বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সরকার পেঁয়াজবীজ উৎপাদন ও এসব বীজ ব্যবহার করে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চায়। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এক বছরে সরকার সাত লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়িয়েছে। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। শিগগিরই পেঁয়াজবীজ ও পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) ফরিদপুরের সদর উপজেলার গোবিন্দগঞ্জে শাহিদা বেগমের পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পেঁয়াজবীজ চাষিদের জন্য ঋণের ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
কৃষকদেরকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কৃষকেরা ঝুঁকি নিয়ে, পরিশ্রম করে পেঁয়াজ চাষ করে, তাদের স্বার্থকে দেখতে হবে। প্রতিদিন বাজার মনিটরিং হচ্ছে, পেঁয়াজের দাম বেশি কমে গেলে আমদানি বন্ধ করে দাম বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদনের মৌসুমে দাম কম থাকে, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখলে একটু দাম বাড়ে, তাতে ভোক্তাদের কষ্ট বাড়ে ও সমালোচনা শুরু হয়। এটি সরকারের জন্য উভয়সংকট। সেজন্য, সরকার কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থকে বিবেচনায় নিয়েই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের আবহাওয়া পেঁয়াজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কিন্তু সমস্যা হলো পেঁয়াজ খুবই পচনশীল। দেশে এখনও পেঁয়াজের পচনরোধে কোনো প্রযুক্তি নেই ও সংরক্ষণের জন্য কোনো কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা যায়নি। সেজন্য, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ সম্প্রসারণ ও পেঁয়াজ সংরক্ষণে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এর মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক হযরত আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শাহিদা বেগম পেঁয়াজবীজ চাষি হিসেবে পরিচিত। ইতোমধ্যে তিনি অনেকগুলো পুরস্কার পেয়েছেন। ২০২১ সালে পেঁয়াজবীজ বিক্রি করে ৭৫ লাখ টাকা মুনাফা করেছেন বলে জানান শাহিদা বেগম।