বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : অনলাইন নিউজ পোর্টাল বঙ্গনিউজবিডি২৪.কম গত ০৬ এপ্রিল, ২০২১ ইং তারিখ ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের প্রায় সকল ধারা লঙ্ঘন করে চালাচ্ছে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি : কিন্তু এভাবে আর কতোদিন ‘ শীর্ষক একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হবার পর এ পর্যন্ত প্রায় ৫ শত পাঠক যাদের অধিকাংশ কোন না-কোন ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টির সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন কিংবা আছেন,তারা প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং প্রতিষ্ঠানের একমাত্র মালিক ড.মাওলানা আবুল হাসান সাদেকের দেশ-জাতি বিরোধী বিবিধ প্রতারণা মূলক কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তুলে ধরার জন্য এই প্রতিবেদককে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেন।তাঁরা স্বেচ্ছায় বিবিধ তথ্য-সূত্র আমাদের নিকট প্রেরণ করেছেন যার ভিত্তিতে বর্তমান ফলোআপ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো।
বয়স নিয়ে প্রতারণা : প্রতারণায় চ্যাম্পয়ন মাওলানা সাদেক জীবনভর অপ্রতিদ্বন্দ্বী। শিক্ষা জীবন শুরু করেন মাদ্রাসায়। কামেল পাশের পর পূনরায় এসএসসি-তে ভর্তি হলেন বয়স কমপক্ষে ১৫ বছর কম দেখিয়ে। যারফলে ভাই-বোনদের মধ্যে বয়সে সবার বড় হলেও একাডেমিক সার্টিফিকেট অনুযায়ী তিনি সবার ছোট।সার্টিফিকেটে প্রদর্শিত কম বয়সের সুবিধা নিচ্ছেন এখন সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে সকল সেক্টর থেকে। যা রীতিমতো অবৈধ এবং সেই বিবেচনায় তার সকল সার্টিফিকেট বাতিল যোগ্য। কিন্তু কে করবে সে কাজ (সূত্র : বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা; নভেম্বর, ২০১০)?
বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা নিয়ে প্রতারণা : শুরুর দিকে দীর্ঘদিন মাওলানা সাদেক পরিবারের ‘দিন আনে দিন খায়’ পরিস্থিতি বিরাজমান ছিল। আর্থিক অস্বচ্ছলতা দূর করতে মাওলানা সাদেক বিবাহ করেন দেশের প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী (তৎকালে জীবিত) প্রয়াত আলহাজ্ব আজিজুল্লাহ সাহেবের জ্যেষ্ঠা কন্যা সালেহা বেগমকে ১৯৭৮ ইং সালে। পরবর্তীতে ধনাঢ্য শ্বশুরের আর্থিক বিনিয়োগে ১৯৯৬ ইং সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ‘। প্রতিষ্ঠা কালীন সময়ে তিনি যে ট্রাস্টি বোর্ড জনসমক্ষে প্রচার করেন কিন্তু ‘জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এ্যান্ড ফার্মস’-এ আদৌ রেজিষ্ট্রি ভুক্ত করেন নাই ওটাতে ভাইস-চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজিজুল্লাহ, শ্যালক আবদুল হালিম সদস্য-সচিব এবং নিজকে চেয়ারম্যান হিসেবে প্রদর্শন করেন।পরবর্তীতে মাওলানা সাদেক তার মনগড়া ট্রাস্টি বোর্ড ২০০০ সাল,২০০২ সাল,২০১১ সাল এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালে বারবার পরিবর্তন-পরিবর্ধণ করতে থাকেন। পরিবর্তিত এসব ট্রাস্টি বোর্ডে শ্বশুর পরিবারের কাউকে আর রাখেন নাই। তার এই প্রতারণা মূলক আচরণের কারণে শ্বশুর পরিবারের সাথে তার সম্পর্ক এখন তলানিতে (সূত্র : স্বদেশ খবর,২৭/০৭/২০০৯)। ২০১৬ সালে যে ট্রাস্টি বোর্ড তিনি জনসমক্ষে প্রকাশ করেছেন তাতে ভয়ংকর পেট্রোল সন্ত্রাসী ইয়াসিন আলি ০১ জন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য (সূত্র : অপরাধ বিচিত্রা; ০৯ অক্টোবর, ২০১৭ ইং)। কিন্তু উক্ত ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য-সচিব ড. মোঃ মহসিন উদ্দিন (হেড,ইসলামীক স্টাডিজ-এইউবি) মাওলানা সাদেক-সহ বাকী সদস্যদের যাবতীয় অবৈধ, অনৈতিক ও প্রতারণা মূলক কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করেছিলেন বিধায় বেশিদিন টিকতে পারেননি। অস্ত্রের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
এদিকে মাওলানা সাদেকের বিশ্ববিদ্যালয়/উচ্চ শিক্ষা ব্যবসায়ের কাঁচা টাকার গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে উঠেন তার প্রায় সকল নিকটাত্মীয়। তারা মাওলানা সাদেকের শ্বশুর পরিবারের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ০১টি পৃথক ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেন। উক্ত ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ছিলেন মাওলানা সাদেকের সহোদর ভাই আন্তর্জাতিক হুন্ডি কারবারি হারুন মিয়া এবং সদস্য-সচিব তাদের চাচাতো ভাই শিবির কর্মী ইয়ারা ডিলার মঞ্জুরে এলাহি (সূত্র : দৈনিক যুগান্তর ; ১৭ মার্চ ২০১১ এবং ২৭ জুলাই, ২০১২)।পরবর্তীতে দীর্ঘ দেন-দরবার, মামলা-মোকদ্দমার পর ১৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে তারা তাদের গঠিত পৃথক ট্রাস্টি বোর্ডের বিলুপ্তি ঘোষণা করে। প্রাপ্ত টাকায় হারুন মিয়া মালয়শিয়ায় সেকেন্ড হোম করেছে, মঞ্জুরে এলাহি ধানমন্ডি ও উত্তরায় অনেকগুলো ফ্ল্যাটের মালিক ছাড়াও নিজ উপজেলায় প্রচুর স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় এবং কাঁচাটাকা খরচ করে একবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিতও হয়েছে। অন্য ভাই আনোয়ার হোসেন নিজ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট।
রিজার্ভ ফান্ড নিয়ে প্রতারণা : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯২ অনুযায়ী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ০১ কোটি টাকার এফডিআর রাখার বিধান ছিল। মাওলানা সাদেক তার শ্বশুরের বিনিয়োগকৃত ৫০ লক্ষ টাকা প্রথমে সোনালী ব্যাংকে রেখে ০১টি সার্টিফিকেট নেন্।পরে ঐ টাকা উত্তোলন করে জনতা ব্যাংকে জমা রাখেন এবং ০১টি সার্টিফিকেট নেন্। এই ০২টি সার্টিফিকেট মিলিয়ে প্রতারণা মূলক ভাবে ০১ কোটি টাকা প্রদর্শন করেন এবং তা প্রোজেক্ট প্রোফাইলে অন্তর্ভুক্ত করে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেন। সংস্থা ০২টি জমাকৃত এশিয়ান ইউনিভার্সিটির প্রোজেক্ট প্রোফাইলের কপিগুলো পরীক্ষা করলে এই প্রতারণার সত্যতা নিশ্চিত ভাবে প্রমানিত হবে। এ জাতীয় প্রতারণা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু কে দিবে শাস্তি?
উপাচার্যের পদ নিয়ে প্রতারণা : বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন গত ১৬ নভেম্বর, ২০১৬ ইং তারিখ একটি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যম ঘোষণা করে যে এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বৈধ কোন উপাচার্য নাই ২০০৯ সাল থেকে। সেই থেকে দীর্ঘ ১২ বছর বা ০১যুগ যাবত উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বৈধ উপাচার্য ব্যতিত পরিচালিত হচ্ছে। মাওলানা সাদেক প্রতারণা মূলক ভাবে উপাচার্যের পদটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধিত)- ২০১০ এর আলোকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অবৈধ ভাবে উপাচার্যের পদে অধিষ্ঠিত থেকে তিনি আর্থিক লেনদেন করছেন, গুরুত্বপূর্ণ দলিল-দস্তাবেজে স্বাক্ষর করছেন, পাশ করে যাওয়া শিক্ষার্থীদের সনদে স্বাক্ষর করে সমাবর্তনের মাধ্যমে ওগুলো বিতরণ করছেন,যার সবই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু কে দিবে তাকে শাস্তি? (সূত্র : দৈনিক জনকণ্ঠ ; ১৭ নভেম্বর, ২০১৩ ইং, ইউজিসি’র প্রজ্ঞাপন)
প্রতারণা মূলক সনদ বানিজ্য : সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ফার্স্ট নিউজ’এর প্রতিবেদক তপন খান গত ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১২ সংখ্যায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখিয়েছেন, মাওলানা সাদেক এশিয়ান ইউনিভার্সিটি প্রদত্ত মোট সার্টিফিকেটের ৪০% জাল সনদ হিসেবে বিক্রি করেছেন এবং তৎকালে আয় করেছেন ২৩ কোটি টাকা।একই বছর ২০ জানুয়ারি দৈনিক জনকণ্ঠ এক সরেজমিন প্রতিবেদনে দেখিয়েছে তিনি টাকার বিনিময়ে ০৬ হাজার বিবিএ এমবিএ সার্টিফিকেট বিক্রি করেছেন। গত ১৬ এপ্রিল, ২০২১ইং অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘জাগোনিউজ২৪.কম’ এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে যে, মাওলানা সাদেকের সার্টিফিকেট বানিজ্যের তথ্য-উপাত্তসহ যাবতীয় প্রমান ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইউজিসি-কে এতদ বিষয়ে কড়াকড়ি নজরদারি রাখাসহ শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে। এদিকে এশিয়ানের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাখার সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, মাওলানা সাদেক গত ২৫ বছরে কমবেশি ০৫ লক্ষ সার্টিফিকেট বিতরণ/বিক্রি করেছেন। দেশ-জাতি বিরোধী এতো বড় প্রতারণা তিনি কিভাবে নির্বিঘ্নে করে যাচ্ছেন আজ তার হিসাব নেওয়ার সময় হয়েছে।
সমাবর্তন নিয়ে প্রতারণা : গত ২৭ জুলাই, ২০০৯ ইং তারিখ দেশের শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক প্রথম আলো’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়,শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করায় এশিয়ান ইউনিভার্সিটির ৫ম সমাবর্তনে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান যোগ দিতে রাজি হন নাই। উক্ত সমাবর্তনে যেহেতু মহামান্য রাষ্ট্রপতি যোগ দেন নাই,সেহেতু ইউজিসি চেয়ারম্যান এবং শিক্ষা মন্ত্রীও তাতে যোগ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কিন্তু মাওলানা সাদেক যথারীতি সমাবর্তন অনুষ্ঠান পরিচালনা শুরু করলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং সাদেক ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের জুতোপেটা করে।শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যায়।
কিন্তু প্রতারক মাওলানা সাদেকের দুঃসাহসের যেন কমতি নাই। তিনি পরের দিন ঘোষণা দেন যে,যেহেতু মহামান্য রাষ্ট্রপতি অসুস্থ ছিলেন সেহেতু তিনি সমাবর্তনে উপস্থিত হতে পারেন নাই। দেশের অভিভাবক মহামান্য রাষ্ট্রপতি সুস্থ না-কি অসুস্থ তার ঘোষণা মাওলানা সাদেক দিতে পারেন কি-না এতদ বিষয়ে তৎকালে প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, মাওলানা সাদেক মহামান্য রাষ্ট্রপতির বানী ও স্বাক্ষর জাল করে ৫ম সমাবর্তন উপলক্ষে প্রকাশিত স্যুভেনিরে ছেপে দেয়।পরবর্তীতে বিষয়টি মহামান্য রাষ্ট্রপতি দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তাদের নির্দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন যুগ্ম-সচিব (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) মোঃ বেলায়েত হোসেন তালুকদার-এর নেতৃত্বে ০৩ সদস্য বিশিষ্ট ০১টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় ( সূত্র : দৈনিক আজকালের খবর ; ০৬ এপ্রিল, ২০১৮ ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ; এপ্রিল, ২০১৮ইং)। তদন্ত কমিটি তদন্ত করে কি রিপোর্ট দিয়েছিল কিংবা আদৌ কোন তদন্ত হয়েছিল কি-না জনসমক্ষে তা আর প্রকাশিত হয় নাই।
যে কোন সমাবর্তন আয়োজনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত একজন বৈধ উপাচার্য আবশ্যক। কিন্তু ৫ম সমাবর্তন আয়োজনে ব্যর্থ হয়েও মাওলানা সাদেক রাষ্ট্রপতির দপ্তর ও ইউজিসি-কে পাশ কাটিয়ে শুধু মাত্র তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রি নাহিদ সাহেবকে দিয়ে ঠিকই ৬ষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে ফেলে।নাহিদ সাহেবকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে রাজি করায় লাইব্রেরি কর্মী মঞ্জুশ্রী দত্ত ও প্রক্টোরিয়াল অফিস কর্মী শাহিদা বেগম বিশেষ কর্মতৎপরতা প্রদর্শন করে বলে ব্যপক আলোচনা রয়েছে। উপাচার্য বিহীন ০১টি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রি কি ভাবে উপস্থিত থাকলেন,তা বিশাল এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় এবং বেতন ভাতা নিয়ে প্রতারণা : ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থাকে এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বৈধ কোন উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার নাই। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক একাডেমিক এবং আর্থিক রিপোর্ট গত ২৫ বছর যাবত ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিচ্ছেন না মাওলানা সাদেক। যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের মারাত্মক বেত্যয়। কিন্ত তাকে কেউ কিছু বলছে না,আর তিনিও যেন মুক্ত স্বাধীন।
এদিকে গত ২৮ এপ্রিল,২০১৮দৈনিক মানবজমিন, ২৫ এপ্রিল,২০১৮ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট ৩০ ডিসেম্বরে, ২০১৮ দৈনিক যুগান্তর, এবং দৈনিক আমাদের অর্থনীতি তাদের রিপোর্টেসমূহে মাওলানা সাদেকের হাজারো কোটি টাকার অবৈধ অর্থ উপার্জন এবং ওগুলোর সিংহ ভাগ বিদেশে পাচার করা নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। দেশের অর্থ সম্পদ মনিটরিং এর কাজে নিয়োজিত একটি সংস্থার মতে মাওলানা সাদেক উচ্চ শিক্ষার ব্যবসায় করে এ পর্যন্ত অন্তত ০৬ হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। অথচ তিনি তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অতি নগন্য বেতন ভাতা প্রদান করেন।কিন্তু বিভিন্ন সময়ে ইউজিসি-কে দেওয়ার সেলারি-সীটে প্রদর্শন করেন অত্যন্ত হ্যান্ডসাম অংক। যা রীতিমতো এক প্রতারণা। এতদ বিষয় টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি একটি তথ্য মূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে গত ০২মে, ২০২০ ইং তারিখ। প্রতিবেদনে ইউজিসি বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে উল্লেখ করা হয়। শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন ভাতা নিয়ে এতো বড়ো প্রতারণা করেও মাওলানা সাদেক রয়ে গেলেন জবাবদিহির বাইরে।
অযোগ্য শিক্ষক দিয়ে শিক্ষা দেওয়ার প্রতারণা : (ক) সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক জামায়াত ক্যাডার জাকির হোসেন উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন নাই, তারপরও তিনি শিক্ষক (খ) জনাব আখতারুজ্জামান গণিতে পড়াশোনা করে কম্পিউটার বিষয়ে শিক্ষক ও বিভাগীয় প্রধান (গ) রিতা আশরাফ পিএইচডি না করে লেখেন ড. রিতা এবং তিনি বাংলা বিষয়ের বিভাগীয় প্রধান (ঘ) জনাব আবদুল কাদের এশিয়ান ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন,পরে এখনাই বিবিএ বিভাগের প্রধান (ঙ) জনাব মোবারক রাশিয়া থেকে ভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করে এশিয়ানে কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক। যে কেউ খোঁজ নিলে প্রত্যেক বিষয়ে কমবেশি একই চিত্র দেখতে পাবেন।সার্বিক বিবেচনায় লোকজন মাওলানা সাদেক-কে একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত লোক বলে মনে করে। যিনি মানষকে ঠকিয়ে, অপমান-অপদস্ত করে কিংবা চাকুরী-চ্যুত করে বিকৃত আনন্দ উপভোগ করেন।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এখনই বৈধ উপাচার্য, বৈধ উপ-উপাচার্য এবং বৈধ ট্রেজারার নিয়োগ দিয়ে সার্বিক বিষয়গুলো জরুরি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।