গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে আজিজুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় শাজাহানপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কিশোরীর মা জানান, তার স্বামী খেজুর গাছ পরিষ্কার করে সংসার চালান। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে ও মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১২ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছোট মেয়েকে নিয়ে তাদের অভাবের সংসার।
ঈদের দাওয়াতে বড় মেয়ে তার বাড়িতে বেড়াতে আসে। শনিবার দুপুরে বড় মেয়ে তার ছোট প্রতিবন্ধী বোনকে প্রতিবেশী তোতা মিয়ার বাড়ি থেকে আম ধুয়ে আনতে বলে। প্রতিবন্ধী শিশুটি তোতা মিয়ার বাড়ির টিউবওয়েলে গেলে তোতা মিয়া পেছন দিক থেকে জড়িয়ে ধরে জোর করে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে কাউকে বলতে নিষেধ করে। মেয়ের কান্না শুনে প্রতিবেশী এক নারী এসে বিষয়টি জানালে তোতা মিয়ার বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। পরে থানায় এসে বিষয়টি জানান তিনি।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। নিশ্চিত হওয়ার জন্য কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে। গ্রেপ্তার আসামিকে আজ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।