বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ইসরায়েলের আগ্রাসনের সমালোচনা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যতম ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আপনাকে ধন্যবাদ প্রতিবাদ করার জন্য। শুধু ধন্যবাদ জানালেই হবে না, ফিলিস্তিনিদের অর্থ ও সামরিক সাহায্য দিতে হবে। কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে।’
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ফিলিস্তিনিদের সংগ্রাম ও স্বাধীনতার প্রতি সর্বস্তরের নাগরিকদের সমর্থন প্রকাশ করে অনুষ্ঠিত এক সংহতি সভায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেন। অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব মানবতাবাদী নাগরিক ও রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘৭০ বছর ধরে একটা জাতি লড়াই করছে, আমরা তাদের এই লড়াইয়ের প্রতি সংহতি জানাই। আজ ক্ষমতাসীনরা একদিকে ফিলিস্তিনের পক্ষে, আবার অন্যদিকে যারা দেশে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে, তাদের গ্রেপ্তার করছে; এটা ফ্যাসিবাদী চরিত্রের কথা মনে করিয়ে দেয়।’
এ সময় ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘অনেক বছর ধরে এই অন্যায় চলছে। সমস্যা সমাধানের কোনও উদ্যোগ নেই। কিন্তু এইবার কিছুটা আশার আলো দেখছি। কারণ সারা বিশ্বের সাধারণ বিবেকবান মানুষ ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। খোদ যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ, এমনকি কিছু ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যানও ইসরাইলের নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উচিত এই মুহূর্তেই ‘টু-স্টেট’ পলিসি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।’
এবি পার্টির আহ্বায়ক সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘৭০ বছর ধরে গণহত্যা চলছে। পশ্চিমা বিশ্ব ইসরাইলকে এ গণহত্যা চালাতে সহযোগিতা করছে। শুধু ফিলিস্তিন নয়, আমাদের দেশেও মানুষের অধিকার যেভাবে হরণ করা হচ্ছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘ফিলিস্তিনে যা ঘটছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও জঘন্য অপরাধ। জায়নবাদ ফিলিস্তিনের সব অধিকার হরণ করেছে, এর প্রতিবাদে আমাদের সবাইকে সোচ্চার ভূমিকা রাখতে হবে।’
মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মজিবুর রহমান মঞ্জু।