বিশেষ প্রতিবেদক : কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দলের নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিল না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সেই নির্দেশ অমান্য করে মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের ব্যানারে ঢাকার ধানমন্ডি প্রিয়াংকা কমিনিউটি সেন্টারে ইফতার মাহফিল আয়োজন করেছেন গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসন থেকে নৌকা নিয়ে পরাজিত হওয়া প্রার্থী কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার প্রিয়াংকা কমিনিউটি সেন্টারে জাঁকজমকপূর্ণ এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এতে অংশ নেন জাতীয় কোন দিবস পালন না করা মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন আল রশিদ, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হানিফ সরকার, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক রানা ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ তমালসহ ছাড়াও দলের প্রায় সকল স্তরের শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন দলের শীর্ষ নেতার নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মী বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে ইফতার পার্টি না করে সেই টাকা দিয়ে গরিব ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অথচ ওই নির্দেশনা অমান্য করে ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন তার বলয় মজবুত করার জন্য নিজস্ব নেতাকর্মী ও অনুসারীদের নিয়ে ইফতার মাহফিল করেছেন।
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের দফতর সম্পাদক অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম রাজীব বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন, সে অনুযায়ী আমরা উত্তর জেলার পক্ষ থেকে কোনো আয়োজন করিনি। এরপরও দলের কেউ যদি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করেন, তাহলে তারা দলের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। এটা দল দেখবে।
এ ইফতার পার্টিতে ইউসুফ হারুন তার বলয়ের নেতাকর্মীদের বলেন, প্রস্তুত থাকুন আমরা মাঠে আসতেছি। যে কোন কিছু ঘটলে ওই বিষয়ে মামলা করার পরামর্শ দিয়ে তিনি ক্ষোভের সহিত আরো বলেন, আমরা দল করেছি, নৌকা নিয়ে নির্বাচন করেছি অথচ আমাদের ওপর হামলা হলে পুলিশ নির্বিকার থাকে।