বাংলাদেশের বৃহত্তম ও সবচেয়ে বিশ্বস্ত মার্কেটপ্লেস বিক্রয় প্রপার্টি কেনা-বেচা এবং ভাড়ার তথ্য সংক্রান্ত ওয়েবসাইট প্রপার্টি গাইড বাংলাদেশ (propertyguide.com.bd) চালু করেছে। এই পোর্টালের মাধ্যমে গ্রাহকরা বিনামূল্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রপার্টি সংক্রান্ত রিভিউ, প্রাইস ইনডেক্স, এলাকা ভিত্তিক চাহিদা, গুরুত্বপূর্ণ চলমান প্রজেক্ট, নীতিমালা পরিবর্তন প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এসব তথ্য-উপাত্ত।
প্রপার্টি গাইড শীর্ষক এ ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, রাজধানী ঢাকায় ৩২ শতাংশ বেশি অনুপাত নিয়ে প্রপার্টি বিক্রিতে এগিয়ে আছে মিরপুর। এর পরেই ১৯ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বসুন্ধরা। মূলত উন্নত অবকাঠামো, সুযোগ-সুবিধা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধার কারণে প্রপার্টি কেনার ক্ষেত্রে এই দুটি এলাকাকে ক্রেতারা প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। প্রপার্টি বিক্রির ক্ষেত্রে রাজধানী ঢাকার বাইরে যথাক্রমে ১৯ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ অনুপাত নিয়ে শীর্ষে রয়েছে রংপুর ও ঢাকা বিভাগ।
ঢাকায় প্রপার্টির খোঁজে অনলাইনে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয় বসুন্ধরা এলাকার নাম। এর হার ২৫ শতাংশ। অন্যদিকে ২০ শতাংশ হার নিয়ে এর পরপরই রয়েছে গুলশানের নাম। এতে বোঝা যায়, ক্রেতারা উন্নত এলাকাগুলোতে সম্পত্তি কেনার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী। সারা দেশের হিসেব করলে, ঢাকার বাইরে প্রপার্টি খোঁজার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে খুলনা ও সিলেট।
রাজধানীতে বিক্রির জন্য সহজলভ্য ফ্ল্যাটগুলোতে সাধারণত প্রতি বর্গফুটের জন্য দাম চাওয়া হয় ৫ হাজার ১ টাকা থেকে ৭ হাজার টাকা। এ সকল প্রপার্টির হার ১৭ শতাংশ। তবে বর্গফুট প্রতি ৫ হাজার টাকার নিচে ফ্ল্যাট পাওয়াও তুলনামূলক সহজ। ভাড়ার ক্ষেত্রে, ২২ শতাংশ গ্রাহককে দেখা গেছে ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকার ফ্ল্যাট খুঁজতে। এতে বোঝা যায়, বিলাসবহুল বাসা ভাড়ায় গ্রাহকদের বেশ আগ্রহ রয়েছে। এর মাধ্যমে বাজারে বিভিন্ন পর্যায়ের ক্রয়ক্ষমতাসম্পন্ন গ্রাহক সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
বিক্রয়ের সিইও (চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার) ঈশিতা শারমিন বলেন, “বিক্রয়-এর প্রপার্টি সেগমেন্টের উত্তরোত্তর প্রবৃদ্ধি দেখে আমরা আনন্দিত। এই সাফল্য আমাদের ব্যবহারকারীদের বিশ্বাসের প্রতিফলন। প্রপার্টি গাইডলাইনের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের আরও সুবিধা প্রদান করা এবং বাজার সম্পর্কে আরও ধারণা দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। প্রথম সারির ডেভেলপারদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রপার্টি বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে তথ্য-ভিত্তিক কৌশল ব্যবহার করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”