নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার ৯নং দেউটি ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা “লুক্কা ডাকাত”এর ছেলে সন্ত্রাসী রাশেদ আলমের নেতৃত্বে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগ ওঠেছে। সোমবার দিবাগত রাতে সোনাইমুড়ী উপজেলার ১০নং আমিশাপাড়া ইউনিয়নের কাজির খিল গ্রামের কাতার প্রবাসী তারেক হোসেন রনির বাড়িতে এই হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী কাতার প্রবাসী তারেক হোসেন রনি অভিযোগ করে বলেন, দেউটি ইউনিয়নের মোহিত খোলা গ্রামের ২০০৭/৮ সালের ওয়ান ইলেভেন সেনা সরকারের সময় মোহিত খোলা মোল্লা বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে সেই সময় লুক্কা ডাকাতকে আক্তারুজ্জামান লুক্ক চিনতে ফেলায় তাকে গুলি করে হত্যা করে লুক্কা ডাকাত রাশেদ পিতার নামে হত্যা ও ডাকাতি ও চুরি মামলা রয়েছে । লোকমান হোসেন ওরফে লুক্কা চোরার ছেলে রাশেদ আলম তারেক সঙ্গে কাতার প্রবাসী ছিলেন। রাশেদ আলম প্রবাসী ও বিবাহিত হয়ে মাসুদুর রহমান মাসুদের হাত ধরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দেউটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেয়। সরকার পালিয়ে যাবার পর থেকে পুরো ইউনিয়নে চাঁদাবাজি অস্ত্র উচিয়ে ও মোটর সাইকেল শো ডাউন নান্দিয়াপাড়া চৌরাস্তা মুহুরীগঞ্জ বাজারে দেউটী বাজার সহ পুরো দেওটি ইউনিয়ন কে বিএনপিকে কলঙ্কিত করেছে তাদের কৃতি কর্ম দেখে বিএনপির অনেক নেতা কর্মী ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন থানা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ এর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মানুষকে ভয় ভীতি দিয়ে আসছে। প্রবাসী তারেক বলে প্রবাসে সময়ে ছোট্ট একটা বিষয় নিয়ে রাশেদের সঙ্গে আমার মনোমালিন্য হয়। পরবর্তীতে সেখানে আমাদের কয়েকজন সহপাঠির মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যায়। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক আমি কাতার থেকে দেশে ছুটিতে আসার পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কয়েকদিনের মাথায় রাশেদ দেশে চলে আসেন। গত কয়েকদিন যাবত রাশেদ পূর্বের ঘটনার জন্য আমার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। আমি তার চাহিত চাঁদা না দেয়ায় গতকাল সন্ধ্যায় রাশেদ, তার ভাই মানিক, লোকমান, আলম, ফিরোজ, লিটন, ইমাম হোসেনসহ ২৫-৩০ জনের একটি সঙ্গবন্ধ সন্ত্রাসীদল নিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় লোকজন তাদের বাধা দিলে তারা প্রকাশ্যে ফাকাগুলি ছুড়ে আমাকে ব্যাপক মারধর করে আমার বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে চলে যায়। তারেক হোসেন রনি আরো বলেন,
পরবর্তীতে রাত আড়াইটার দিকে ছাত্রদলের অবৈধ সভাপতি নেতা রাশেদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আবারো আমার বাড়িতে আমাকে হত্যার উদ্দেশে ঢুকে। এসময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আমরা বাড়ি থেকে সরে গেলে সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসীরা ঘরের দুটি দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালায়। এসময় তারা ঘরের ভিতরের আলমারি ভেঙে নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও সাড়ে ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী তারেক রনি ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পর সোনাইমুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানা-পুলিশ মামলার এজাহার গ্রহণ করেনি। ৯ নং দেউটি ইউনিয়নে কোন মামলা করতে গেলে মাসুদুর রহমান মাসুদের অনুমতি লাগে। মাসুদ রাশেদ গীত দিয়ে সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার কারণেই রাশেদের কোন মামলা থানায় নেয় না। স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, হাসিনা সরকার পতনের পর এখনো কোনো নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় নাই। তারপরও বিএনপির নাম বিক্রি করে। মাসুদের ইশারায় রাশেদসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীগ্রুপ প্রবাসী ও মানুষের কাছে চাঁদা দাবি করছে। চাঁদা না পেলে তারা মানুষের জান- মালের ক্ষতি করছে।ও রাশেদ অস্ত্র দেখিয়ে বয় ভীতি প্রদর্শন করে । গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত তিন দফায় ছাত্রদলের রাশেদ ও তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে প্রবাসী তারেক রনির বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করে তাকে প্রাণে হত্যার জন্য খুঁজে বেড়ায়। পরবর্তীতে তারেক রনি ও তার পরিবারের সদস্যদের না পেয়ে তাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভুক্তভোগীদের থানায় অভিযোগ দিতে বলে। তবে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।