মাছুম বিল্লাহ (তুহিন) : নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রবাসীর স্ত্রী কে নিয়ে হাজীগঞ্জের এক যুবক উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।এই ঘটনায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে বাদী হয়ে বরুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রবাসী নূরুল ইসলাম নাহিদ।ঐ প্রবাসীর পরিবারে চলছে হাহাকার। জানা যায়,২০২১ সালে পারিবারিকভাবে ৩,৫০,০০০(তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার)টাকা দেনমোহর ও উসুল ১,০০০০০(এক লক্ষ) টাকা উসুল এর বিনিময়ে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার বাকই ইউনিয়নের অন্তর্গত পূর্ব পাঁচপাড়া(হাজী বাড়ি)গ্রামের জিন্নাত আলী ও সুফিয়া বেগমের পুত্র সন্তান কাতার প্রবাসী নূরুল ইসলাম নাহিদ এর সাথে একই জেলার বরুড়া উপজেলার নলূয়া চাঁদপুর(বেপারী বাড়ি) গ্রামের হেদায়েত উল্লাহ ও আপিয়া বেগমের কণ্যা সন্তান রিমা আক্তার এর সাথে বিবাহ হয়।বিয়ের ৩ মাস পর নূরুল ইসলাম নাহিদ কাতারে চলে আসেন।প্রবাসে এসেও প্রতি নিয়ত স্ত্রীর খোঁজ খবর নেন।নূরুল ইসলাম নাহিদ ও রিমা আক্তারের দাম্পত্য জীবন চলছিল খুবই সুখের।দেশে থাকা বৃদ্ধ মা-বাবা ও সংসারের খরচের জন্য নূরুল ইসলাম নাহিদ প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা পাঠাতেন।পাশাপাশি স্ত্রী রিমা আক্তারের জন্য পাঠাতেন আলাদাভাবে হাত খরচের টাকা।বৃদ্ধ শ্বশুর- শ্বাশুড়ি পুত্রবধূ রিমা আক্তার কে আপন করে নিলেও রিমা আক্তার এই পরিবার কে আপন করে নিতে পারেননি।ফেসবুকের মাধ্যমে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামের আবু হানিফ ও রোকসানা বেগম এর ছেলে রাব্বি হোসেন এর সাথে।স্ত্রী রিমা কে প্রচন্ড বিশ্বাস করতেন স্বামী নাহিদ।নূরুল ইসলাম নাহিদ তার নিজের কষ্টে উপার্জিত হাজার হাজার টাকা প্রতি মাসে রিমা আক্তার কে পাঠাতেন।স্বামীর সাথে মিথ্যা ভালোবাসার অভিনয় করে দীর্ঘ ২ বছর যাবত স্বামীর পাঠানো টাকা দিয়ে রিমা আক্তার প্রেমিক রাব্বি হোসেন এর পিছনে খরচ করতেন।গত ৩ মাস আগে নাহিদ দেশে আসেন।দেশে আসার পর স্ত্রী রিমা কে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি নলূয়া চাঁদপুর বেড়াতে যান।কিছুদিন শ্বশুর বাড়িতে বেড়ানোর পর নাহিদ স্ত্রী কে নিয়ে চলে আসতে চান।কিন্তু স্ত্রী রিমা অসুস্থতার কথা বলে বাবার বাড়িতে থেকে যান।পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবার বাড়ি নলূয়া চাঁদপুর থেকে গত ২২ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে প্রেমিক রাব্বির সাথে পালিয়ে যান। বিবাহের সময় স্বামী নূরুল ইসলাম নাহিদ এর দেওয়া ৫ ভরি স্বর্ণালংকার যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪,০০০০০(চার লক্ষ) টাকা ও নগদ ৭০,০০০(সত্তর হাজার)টাকা সাথে করে নিয়ে যান।ভুক্তভোগী স্বামী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন,তাকে আমি অনেক ভালোবাসতাম এবং খুবই বিশ্বাস করতাম।সে আমার দেওয়া স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলো।আমার বৃদ্ধ মা-বাবা তাকে অনেক আদর স্নেহ করতো।কিন্তু সে একি করলো? নাহিদ আরো বলেন,আমি আমার প্রবাস জীবনের কষ্টে উপার্জিত টাকা ও স্বর্ণালংকার ফেরত চাই।প্রশাসনের কাছে রিমার বিচার চাই।আরো জানা যায়, প্রেমিক রাব্বির সাথে অবৈধ সম্পর্ক করার পিছনে রিমা আক্তারের পরিবারের সহযোগিতা রয়েছে। তাদের ইন্ধনে রিমা আক্তার হাজীগঞ্জের যুবক রাব্বির সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন।এ বিষয়ে রিমার পরিবারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের কে পাওয়া যায়নি।