বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেছেন, ভিন্ন ভাষার প্রভাবে নানা ভাষার শব্দ ঢুকে ভাষা তার মৌলিকত্ব হারায়। তাই প্রমিত ভাষা ব্যবহার খুব জরুরি এবং এটির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ দরকার।
সোমবার সকাল সোয়া সাতটার দিকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাবি ভিসি আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয়ভাবে মাতৃভাষার ব্যবহার ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু যেটার অভাব, সেটি হচ্ছে পরিমার্জিত ও পরিশীলিত ভাষার ব্যবহার। আমাদের কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা এ বিষয়ে কাজ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এ বিষয়ে বিশেষ যত্ন থাকা জরুরি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও এ বিষয়ে যত্নশীল।
তিনি বলেন, বিজ্ঞানের নানা শাখায় বর্তমানে বাংলা ভাষায় অধ্যায়নের সুযোগ বেড়েছে। ভাষার সমৃদ্ধি অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে সে ভাষায় আয়ত্ত করার সক্ষমতা বাড়ে। আমরা প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যবহার করব এটি যেমন ঠিক, এর পাশাপাশি ভিনদেশী ও আন্তর্জাতিক ভাষা যেন আমরা রক্ষা করতে পারি সে বিষয়েও যত্নশীল থাকা প্রয়োজন। কেননা বিজ্ঞানের নানা বিষয়ে আয়ত্ত্ব করার জন্য এ বিষয়টি আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।
ঢাবি ভিসি বলেন, ভিনদেশি ভাষা ও সংস্কৃতি আমাদের সেটিরও প্রয়োজন আছে। কেননা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কেবল বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য শহীদ দিবস নয়। এ মাতৃভাষা দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় একটি বিশেষ মূল্যবোধ। সেটি হলো বিলুপ্তপ্রায় ভাষা, সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে সংরক্ষণ করা। ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভাষা-সংস্কৃতি সংরক্ষণে উদ্যোগী হওয়া এবং অন্য ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। মানবিক মূল্যবোধ আমাদের মহান একুশ শিক্ষা দেয়।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ কম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ ক্ষেত্রে কী করছে এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাবি উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশ বহু সংস্কৃতির দেশ। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের পঠন-পাঠনে সরকারের জাতীয় উদ্যোগ আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এসব শিক্ষার্থীদের কোটা বরাদ্দ আছে। এসব ব্যবস্থাই তাদের ভাষা, সংস্কৃতি সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবে।