আজ শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান এ চার বিষয়ে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন শিক্ষার্থীরা। ২ ঘণ্টা সময়ে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। পঞ্চম শ্রেণির মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশ এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার মাঠ পর্যায়ে এ বিষয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বৃত্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা গেছে, করোনার থাবার গত দুই বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হয়নি। চলতি বছরও এ পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা সরকারের নেই। তাই চলতি বছর প্রচলিত নিয়ম ও পদ্ধতিতে আলাদ বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগে বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হলেও ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালুর পর এর ভিত্তিতেই বৃত্তি দেয়া শুরু হয়েছিল।
এদিকে বৃত্তি পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচনে আগামী ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একইসঙ্গে সুষ্ঠুভাবে বৃত্তি পরীক্ষা নিতে উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসগুলোকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক মূল্যায়নে প্রতিদিনের উত্তরপত্র প্রতিদিন মূল্যায়ন করতে হবে। ১৯ ডিসেম্বর পরীক্ষা শেষে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরপত্র মূল্যায়ন শেষে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে পঞ্চম শ্রেণির ফল প্রকাশ করতে হবে। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় থেকে প্রস্তুতকৃত ডিআর ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিস সংগ্রহ করবে। উপজেলা শিক্ষা অফিস ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলায় ডিআর পাঠাতে হবে। জেলা থেকে অবশ্যিকভাবে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ডিআর পাঠাতে হবে। উপজেলা শিক্ষা অফিস ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রবেশপত্র বিদ্যালয়ে পাঠাবে। বিদ্যালয় থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রবেশপত্র শিক্ষার্থীদের বিতরণ করা হবে। ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ সকাল ১১টায় উপজেলা পর্যায়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।