বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৯ সালের বিধিমালা মেনে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ‘প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯’ অনুযায়ী ৬০ শতাংশ নারী এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা সংরক্ষিত রাখা হয়। বাকি ২০ শতাংশ পদে পুরুষদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে কোটা বণ্টনে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী- ৯৩ শতাংশই মেধা কোটায় নিয়োগ দেওয়া হবে। নারী, পোষ্য কোটা রাখা হয়নি। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে নারী ও পোষ্য কোটা থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বলছেন, নিয়ম অনুযায়ী-সবার ওপরে আইন। এরপর বিধিমালা, তারপর প্রজ্ঞাপন। সেই হিসেবে বিধিমালা অনুসারে নিয়োগ দেওয়ার কথা। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ-সংশয়ে রয়েছেন খোদ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অনেক কর্মকর্তাও।
তবে সরকারের কোটা বণ্টনের সবশেষ প্রজ্ঞাপনের সঙ্গে বিধিমালা সাংঘর্ষিক নয় বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯’-এ যেসব বিষয় রয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে কোটার বিষয়ে সম্প্রতি যে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে, সেটা সাংঘর্ষিক না। বিধিমালাতে কোনো অসামঞ্জস্যতা নেই। আমাদের বিধিমালা স্পষ্ট।
সচিব বলেন, বিধিমালায় যেমন ৬০: ২০ বিভাজনের কথা বলেছে, তেমনি এটাও বলা আছে যে সরকার কোটা সংক্রান্ত কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করলে সেটা অনুসরণ করা হবে। আমরা যখন নিয়োগ কার্যক্রমে হাত দেবো, তখন যদি কোনো কনফিউশন (সন্দেহ) মনে হয়, তাহলে তখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেবো। সেই অনুযায়ী নিয়োগ কার্যক্রম চালাবো।
এদিকে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৩ জুলাই জারি করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, সরকার এ মর্মে আদেশ জারি করছে যে, সমতার নীতি ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রজাতন্ত্রের কর্মে প্রতিনিধিত্ব লাভ নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অর্থাৎ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্বশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে/কর্মে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সকল গ্রেডে কোটা নির্ধারণ করা হলো–মেধাভিত্তিক ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ।
এতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট কোটার শূন্য পদ সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হবে।