সাইফুল ইসলাম তুহিন স্টাফ রিপোর্টার :
অসহায় মুখে হাঁসি ফোটে,
ভালোবাসার ছোঁয়া পোটে।
খেজুর-রুটি, স্নেহ ভরা,
সন্ধ্যা নামে সুখে গড়া।
সাহারার তাপে ক্লান্ত প্রাণ,
ইফতারে মেলে শান্তি জান।
ভাগ করে খাই, দুঃখ ভুলে,
মানবতার গল্প তুলে।
রমজানের মহিমায় সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে প্রিয় শহর চুয়াডাঙ্গা মানবিক ফাউন্ডেশন অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ইফতার বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। সংগঠনটি চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় ছিন্নমূল, শ্রমজীবী ও অভাবগ্রস্ত মানুষের হাতে ইফতারসামগ্রী তুলে দেয়।
প্রতিবছরের মতো এবারও ফাউন্ডেশনটি ইফতার বিতরণের আয়োজন করেছে। এতে সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক, সমাজসেবক ও দানশীল ব্যক্তিরা। ইফতারসামগ্রীর মধ্যে ছিল খেজুর, শরবত, পোলাও, মাংস, ফলমূল ও অন্যান্য সুস্বাদু খাবার, যা সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের একদিনের জন্য হলেও ভালোভাবে ইফতার করার সুযোগ করে দিয়েছে।
সংগঠনের এক সদস্য বলেন, “আমরা চাই, সমাজের প্রতিটি মানুষ যেন রমজানের আনন্দ উপভোগ করতে পারে। ইফতার বিতরণ আমাদের ছোট প্রচেষ্টা মাত্র, যাতে অসহায় মানুষ অন্তত একদিন ভালোভাবে ইফতার করতে পারে।”
আরেক স্বেচ্ছাসেবক জানান, “আমরা প্রতি বছরই এ ধরনের আয়োজন করি। ভবিষ্যতে আরও বেশি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।”
ইফতার পেয়ে অনেকেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এক বৃদ্ধ ব্যক্তি বলেন, “রমজান এলেও প্রতিদিন ভালো ইফতার জোটে না। আজ সংগঠনের দেওয়া খাবার পেয়ে মনে হচ্ছে, কেউ আমাদের কথাও ভাবে।” এক পথশিশু খুশি হয়ে জানায়, “এত ভালো খাবার অনেকদিন পর খেলাম। আল্লাহ তাদের ভালো করুন।”
ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি যুবরাজ খান রিমন,গ্রুপের সহ উপদেষ্টা আব্দুল্লাহ হক, অর্থ সম্পাদক অমিত হাসান,সিনিয়র এডমিন রিংকু,সিনিয়র এডমিন সিফাত মিয়া,সিনিয়র এডমিন সোহাগ রানা সবুজ, আব্দুল্লাহ, সাব্বির মিয়া
মিডিয়া সম্পাদক বুরহান,ব্লাড ডিপার্টমেন্ট এডমিন জাহিদ।
মানবিক কাজে ভুমিকা রাখেন,নারী ডিপার্টমেন্টের এডমিন
লাবণ্য,সুরাইয়া সহ জাকিয়া সুলতানা,খাদিজা দিপা, নারী ডিপার্টমেন্ট সুমাইয়া,দীপা,দিয়া দীপ্তি,শিরিনা,আরও অনেক স্বেচ্ছাসেবী উপস্থিতি থেকে অসহায় মানুষের মন জয় করেছেন তারা।
ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তারা জানান, সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে আরও অনেক বেশি মানুষ এই সহায়তা পাবে। তারা সবাইকে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান, যাতে রমজানের শিক্ষাকে বাস্তবে রূপ দেওয়া যায়।
প্রিয় শহর চুয়াডাঙ্গা মানবিক ফাউন্ডেশন ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সমাজের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।