বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার একটি ভোটকেন্দ্রে পেট্রোল দিয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে চর সাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনে আগুন দেয়া হয়। আগুনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনের আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে যায়।
চরদরবেশ ইউনিয়নের কেরামতিয়া বাজার সংলগ্ন চরসাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ও অফিস সহকারীর কক্ষে আজ শুক্রবার ভোরে পেট্রোল দিয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুনে অফিস কক্ষের দুটি কম্পিউটার, ৭টি আলমারীর মধ্যে ২টি আলমারি শতভাগ পুড়ে যায়, ৫টি আলমারির কাগজপত্র পুড়ে যায়। এছাড়া ২০টি চেয়ার, ২টি টেবিল, ২টি দরজা ও বই পুড়ে গেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের সভাপতি ডা. আব্দুল হক ও প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদিনের দ্বন্ধের কারণে ওদের মধ্যে কেউ আগুন লাগাতে পারে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল্লাহ জানান, আগুনের খবর পেয়ে তিনি বিদ্যালয়ে আসেন। অফিস কক্ষের আসবাবপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদীপ রায় পলাশ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে স্কুলের ডকুমেন্ট পোড়ানোর জন্য আগুন দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়টিতে এখনো কোনো নির্বাচনি সরঞ্জামাদি পৌঁছায়নি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগুনের ঘটনা ঘটেছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
সোনাগাজী-দাগনভূঞা (সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার তাসলিম হুসাইন জানান, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকে মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ধন্ধ চলছে। অডিটকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষক বহিষ্কৃত হয়েছেন। তিনি আজ সকাল ৬টায় ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। কেন এসেছেন সেজন্য জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিদ্যালয়ের পিছনে অফিস কক্ষের জানালার পাশে দুই লিটারের একটি পানির বোতলে পেট্রোল পড়ে থাকতে দেখা যায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আগুনে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুর রহমান আজাদ জানান, গত দুই দিন ধরে বিভিন্ন কাজ করতে ভোরে বিদ্যালয়ে আসেন তিনি। আজ ভোর ৭টার দিকে বিদ্যালয়ে এসে দেখেন অফিস কক্ষে আগুন জ্বলছে। তিনি তখন নজরুল ইসলাম নামে স্থানীয় একজনকে ডাকেন। নজরুল ইসলাম ৯৯৯-এ ফোন করে ফায়ার সার্ভিস কে খবর দেন।