বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ফেসবুকে একটি অপশন রয়েছে যার মাধ্যমে অ্যাকাউন্টের মালিক একজনকে দায়িত্ব দিয়ে যেতে পারবেন, যাতে তিনি মারা গেলে সেটা ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানানো যায়। আর তার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েই ফেসবুক ‘রিমেমবারিং’ অপশনটি চালু করে দেয়। যাতে ফ্রেন্ডলিস্ট ও ফলোয়ারে থাকা সবাই তার মৃত্যু সম্পর্কে জানতে পারে।
এক কথায় বলা যায় সাধারণত কেউ মারা গেলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ‘রিমেম্বারিং’ লেখাটি দেখায়। তবে বেঁচে থেকেও অনেকেই ফেসবুকের খাতায় মৃত হিসেবে যায়গা পেয়েছে। এমন কয়েকটি উদাহরণে পরিণত হয়েছে কিছু পাবলিক ফিগারও।
ঢাকাই ছবির চিত্রনায়ক জায়েদ খান, লেখিকা তসলিমা নাসরিন, খলনায়ক মিশা সওদাগর, অভিনেতা জিয়াউল পলাশের আইডিকেও ‘রিমেম্বারিং’ করে দিয়েছিল ফেসবুক। পরে তা অবশ্য সরিয়েও নেওয়া হয়।
ঢাকাই ছবির আলোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে ‘মৃত’ দেখাল ফেসবুক। জায়েদ খানের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টটি ‘রিমেম্বারিং’ করে দেয়া হয়। একদিন পরই অবশ্য তার অ্যাকাউন্টে লেখাটি আর দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে শিল্পী সমিতির বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, কেউ রিপোর্ট করে এ কাজটি করেছে। শুধু আমার নয়, মিশা সওদাগর ভাইয়ের আইডিতেও একই অবস্থা। আমাদের কারা টার্গেট করেছে, কেন করেছে কিছু জানি না। একটা বিব্রতকর অবস্থা। আমি যাতে নির্বাচনী প্রচারণা না করতে পারি সেজন্য এ কাজটি করেছে। এ কাজটি শয়তানি করে করেছে।
আলোচিত লেখক তসলিমা নাসরিনের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট জানাচ্ছে তিনি মারা গেছেন। তার আইডিতে ‘রিমেম্বারিং’ লিখে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি। বিষয়টি সামাজিকমাধ্যমে ঝড় তোলার মধ্যেই তসলিমা সামাজিক যোগাযোগের আরেক মাধ্যম টুইটারে বক্তব্য দিয়ে তসলিমা জানান, তিনি বেঁচে আছেন বেশ ভালোভাবেই।
বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে একটি টুইটে তিনি লিখেন, ‘@Meta @fbsecurity @facebookapp @MetaNewsroom @Facebook আমি বেঁচে বর্তে আছি। কিন্তু তুমি আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে স্মরণীয় করে ফেলেছ। কী এক বিষাদময় খবর! কীভাবে তুমি এটা করতে পারলে? দয়া করে, আমার অ্যাকাউন্ট আমাকে ফিরিয়ে দাও।’
জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা জিয়াউল হক পলাশকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মৃত দেখাচ্ছে। পলাশ জীবিত থাকা অবস্থায় তার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টটি ‘রিমেম্বারিং’ করে দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে, ‘রিমেম্বারিং’!
ফেসবুকে মৃত দেখানোর বিষয় নিয়ে পলাশ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আসলে কিছু বলার নেই। জীবিত মানুষকে মেরে ফেলেছে! কিছু মানুষ রিপোর্টের অপশনে গিয়ে এই অপকর্ম করেছে। আমি মনে করি এটা তারাই করেছে, যাদের মনুষ্যত্ব বিকৃত, যাদের আসলে কোনো ধরণের কাজই নেই। বেকার, বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ তারা। এর বাইরে কেউ করবে না। কারো তো এতো সময় নেই। কোনো একজনের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গিয়ে রিপোর্ট অপশন খুঁজে তাকে মৃত দেখানোর জন্য ফেসবুকের কাছে জানানোর এই অযথা সময় তো সবার নেই। এখন কী করার!’