বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ দমন ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গঠনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য গড়ে উঠেছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার (২২ মে) কেন্দ্রীয় ১৪ দলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হারানোর পর তাঁর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন এবং নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে ১৭ মে’র মতো এমন একটি শুভ দিনের অপেক্ষায় ছিলো বাঙালি। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর এনে দেওয়া স্বাধীনতাকে পরিপূ্র্ণতা দিতে দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করেন শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে ছিটমহল সমস্যার সমাধান, সীমানা চুক্তি, সমুদ্রসীমা জয়, দারিদ্র বিমোচন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করা, বিভিন্ন মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাকে পরিপূর্ণতা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, সততা, নিষ্ঠা আর দক্ষতার সাথে চার দশক ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন শেখ হাসিনা। তিনি দেশে ফিরে না আসলে বঙ্গবন্ধু হত্যার এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও দুর্নীতির কারণে সরকারের ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের সুফল পাচ্ছে না সাধারণ জনগণ।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার পথচলাকে টেকসই করতে করোনা, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের ভাইরাসকে চিরতরে দমন করতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মানুষ ফিরে পেয়েছে ভোট ও ভাতের অধিকার। দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনা আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত।
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা।