বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় ১৩ জন ও উপসর্গ নিয়ে ১৮ জন মারা গেছেন।
একই সময়ে করোনারোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭৯৮ জন।
সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১৮ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৮ জনের মধ্যে বরিশালে ৪ জন, পটুয়াখালীর ২ জন, ভোলায় ৬ জন ও পিরোজপুরে একজন রয়েছেন। সব মিলিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪শ ৮৭ জনে।
একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭শ ৯৮ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৬শ ২৭ জনে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ৪শ ৩৬ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল জেলায় নতুন ২শ ৮২ জন নিয়ে মোট ১৪ হাজার ৪শ ১৫ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ১শ ২৯ জন নিয়ে মোট ৪ হাজার ৫শ ৪৬ জন, ভোলায় নতুন ১শ ৬০ জনসহ মোট ৪ হাজার ৬৪ জন, পিরোজপুরে নতুন ৮২ জনসহ মোট ৪ হাজার ৪শ ৫৪ জন, বরগুনায় নতুন ৮৩ জন নিয়ে মোট ৩ হাজার ২৬ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন ৬২ জন নিয়ে মোট ৪ হাজার ১শ ২২ জন রয়েছেন।
এদিকে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১৮ জনের এবং করোনা ওয়ার্ডে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধু শেবাচিম হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই উপসর্গ নিয়ে ৭শ ৯৪ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩শ ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৭শ ৯৪ জনের মধ্যে ৪০ জনের করোনা টেস্টের রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি।
ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সোমবার সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৪৭ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ৯ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ৩শ ১১ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ১শ ১৪ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ১শ ৯৭ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১শ ৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে ৫৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার।