টানা চার পরাজয়ে অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ। তবুও হাল ছাড়তে নারাজ টাইগাররা। টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় জয়ের খোঁজে আজ মুখোমুখি হচ্ছে নেদারল্যান্ডসের। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই সাকিব আল হাসানদের সামনে। বাঁচা-মরার ম্যাচে বাংলাদেশ যেমন জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে চায় তেমনি নেদারল্যান্ডসও চায় কমলা উৎসবে কলকাতা রাঙাতে। এমন ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের বোলিং তোপে ২২৯ রানে গুটিয়ে যায় এডওয়ার্ডসের দল।
টসে হেরে আগে বল করতে নেমে আজ শুরু থেকেই আগুনে বোলিং করেছেন দুই টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের করা প্রথম ওভার দুই ডাচ ওপেনার পার করতে পারলেও বিপাকে পড়ে দ্বিতীয় ওভারেই। নিজের প্রথম ওভার করতে এসে চতুর্থ বলেই বিক্রমজিতকে সাজঘরে পাঠান তাসকিন।
দ্রুত দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে শুরুতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় নেদারল্যান্ডস। মুস্তাফিজ ৪১ রান করে ওয়েসলি বারোসিকে সাজঘরে ফিরিয়ে ভাঙে ৫৯ রানের এই জুটি। এরপর উইকেটে এসে বেশ সতর্ক ছিলেন কলিন অ্যাকারম্যান। কোনো ঝুঁকি নিতে চাননি।
তবে সাকিবকে সুইপ করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন তিনি। শর্ট-ফাইনলেগে মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ রান। ৬৩ রানে টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারিয়ে ডাচর যখন ধুঁকছিল। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করছেন এডওয়ার্ডস।
তাকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন বাস ডি লিডি। তবে উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন লিডি। তাসকিনের ব্যক অব লেন্থের বল কাট করতে গিয়ে উইকেট পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ রান। লিডি আউট হলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রেখে উইকেটে থেকে নিজের অর্ধশত রান তুলে নেন ডাচ অধিনায়ক। তবে ফিফটির পর ইনিংসটি বড় করতে পারেননি তিনি।