ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,”হাসিনা সরকার আন্দোলনে হেরে গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার অপচেষ্টা করছে। আমাকেও অনেক বিদেশি মিডিয়া ফোন করে জানতে চাইছে, তোমরা কি তোমাদের দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নিপীড়ন করছো? আমাদের জবাব পরিষ্কার, এদেশে রাজনৈতিক পট পবিবর্তন জনিত একটা টার্মওয়েল হয়েছে। এটা কখনই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়।বাংলাদেশে হাজার বছর হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খৃস্টানসহ সব ধর্মের মানুষ একটি গাছে নানা রংএর ফুলের মতো একত্রে গেঁথে রয়েছি” মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার গড়েয়া কলেজ মাঠে বিএনপি সদর উপজেলা শাখার উদ্যোগে ঐক্য ও সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনির্ খুনী স্বৈরাচারী দানবীয় শাসক শেখ হাসিনার পতনের ঐতিহাসিক ঘটনা” বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার মুহূর্তেও তিনি চেয়েছিলেন গণভবনের দিকে ধেঁয়ে আসা লক্ষ লক্ষ মানুষকে গুলি করে সেনাবাহিনী হত্যা করে স্তব্ধ করে দিক। কিন্তু দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী সে হুকুম তামিল করতে অস্বীকার করে। তিনি বলেন, খুনী , লুটেরা হাসিনা ও তার দোসরদের ক্ষমা নেই। অবশ্যই এদের ধরে এনে প্রচলিত আইনে বিচার করা হবে। তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের কথা দিতে হবে , সব সম্প্রদায়কে নিয়ে আপনারা মিলে মিশে থাকবেন হিন্দু ভাইদের বাড়িঘর-মন্দির-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষা করবেন। যদি কেউ এর অন্যথা ঘটায় তাদেরকে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করুন।
গড়েয়া ইউপি চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হকের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, জেলা বিএনপি নেতা পয়গাম আলী, ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, আব্দুল হামিদ, যুবদল সভাপতি চৌধুরী আবু নুরসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। এর আগে তিনি দুপুরে গণ অভ্যুত্থানের বিজয়ের পর প্রথম ঠাকুরগাঁওয়ের নিজ বাসভবনে এসে পৌঁছালে ঠাকুরগাঁও কালিবাড়ি এলাকা জনাকীর্ণ হয়ে পড়ে, হাজার হাজার মানুষ তাঁকে এক নজর দেখবার জন্য ভীড় করেন। গড়েয়ার সম্প্রীতি সমাবেশের পর সন্ধ্যায় তিনি রুহিয়ায় ঐক্য ও সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।