বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তিতে সিনোফার্মের টিকার বিক্রয়মূল্য প্রকাশ না করার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও তা প্রকাশ হয়েছে। এতে বিরক্তি প্রকাশ করেছে চীন।
শুক্রবার দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা চীনা রাষ্ট্রদূতের কাছে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছি। তবে, এ ঘটনায় আমাদের অবস্থান বেশ খানিকটা খারাপ হয়েছে। ভবিষ্যতে সরকার আর ওই দামে টিকা কিনতে পারবে না।
আব্দুল মোমেন বলেন, চীন অন্য দেশে যে দামে টিকা বিক্রি করে, সে দামেই এখন আমাদের কিনতে হবে। তা দ্বিগুণ বা তিন গুণও হতে পারে।
গত ২৭ মে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে চীন থেকে সিনোফার্মের করোনা টিকার দেড় কোটি ডোজ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন হয়। সরকার এ টিকার প্রতি ডোজ ১০ ডলারে কিনতে যাচ্ছে বলে বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান যে ওই দাম এখনও অনুমোদন পায়নি।
পরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস) ঢাকায় চীনা দূতাবাসকে একটি চিঠি দিয়ে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
তিনি ওই টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, আমরা বলেছিলাম, আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে জনসমক্ষে দাম প্রকাশ করিনি। তবে, কোনোভাবে তা প্রকাশিত হয়েছে। আমরা তাদের চিঠি দিয়েছি। কিন্তু, তারা এখনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
অধ্যাপক খুরশিদ আলম বলেন, চীন প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন শ্রীলঙ্কার কাছে ১৪ ডলার ও ইন্দোনেশিয়ার কাছে ১৭ ডলারে বিক্রি করছে। বাংলাদেশে সিনোফার্মের বিক্রয়মূল্য জানার পর, সেসব দেশ চীনকে কম দামে ভ্যাকসিন বিক্রি করতে চাপ দিচ্ছে। চীন এনিয়ে আমাদের ওপর বেশ বিরক্ত হয়েছে।