বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে এতদিন তথ্যের নৈরাজ্য চলছিল। এখন অপঘাত ঘটছে। সেখানে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। তার মানে সেখানে ‘ডাল মে কুচ কালা হে। ওখানে এমন কিছু ঘটছে তা যদি জনসম্মুখে আসে তাহলে বড় ধরনের নাশকতা হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মরণে ‘মোয়াজ্জেম হোসেন স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এর মানে, তা কী বার্তা দিচ্ছে। এখন ওখানে এমন কিছু ঘটছে তা যদি জনসমক্ষে প্রকাশ পায় তাহলে বড় ধরনের নাশকতা হয়ে যাবে। এই নাশকতাকারীরা হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিটের সাংবাদিকরা।’
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের একটা গর্ব ছিল, বিদেশি ঋণ নিয়ে কখনও খেলাপি হইনি আমরা। কিন্তু সম্প্রতি তেল আমদানি করে আমরা অর্থ পরিশোধ করতে পারছি না। বিদেশিরা মুনাফা নিতে পারছে না, এয়ারলাইন্স ব্যবসায়ীরা অর্থ পাচ্ছে না।
তার মানে গর্বের জায়গায় ফাটল ধরিয়ে দিয়েছে। এসব তথ্য-উপাত্ত বাংলাদেশ ব্যাংক দেয়। সেখানে প্রবেশ নিষেধ। তার মানে সেখানে ‘ডাল মে কুচ কালা হে’। এখন এটা কি মসুর ডাল না কি মুগ ডাল নাকি সব জায়গায় ডাল; এটাই এখন বোঝার বিষয়। দেশ এখন এলডিসির দিকে যাচ্ছে। সরকার ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ বলছে।’ এই সময় তথ্যের নৈরাজ্য সম্পূর্ণভাবে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে ড. দেবপ্রিয় তার বক্তব্যে দেশের সম-সাময়িক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, ব্যাংকিংখাতসহ সামগ্রিক আর্থিকখাতের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন। সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন স্মরণে তিনি বলেন, ইংরেজি দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সদ্যপ্রয়াত সম্পাদক এএইচএম মোয়াজ্জেম হোসেন পুরোপুরি পেশাদার ও পরিশুদ্ধ সাংবাদিক ছিলেন। সততা, নৈতিকতার সঙ্গে পুরোপুরি পক্ষপাতহীনভাবে সবসময় দায়িত্ব পালন করেছেন। অর্থনীতির সাংবাদিকতার পুরোধা ছিলেন তিনি।
ইআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ এবং ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা।