জাকির মোস্তাফিজ মিলু, ঠাকুরগাঁও। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ দিনে পঞ্চগড়ে ৪ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল এবং ঠাকুরগাঁওয়ে ২ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ও এ জেলায় ১ প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত করেছে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়।
পঞ্চগড়-১ আসনে যাচাই বাছাই শেষে ১১ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৪ জনের বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু তোয়াবুর রহমান, জেলা আওয়ামী কৃষকলীগের সদস্য আকতারুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মিল্টন রায় এবং মুক্তিজোটের আব্দুল মজিদ। পঞ্চগড়-২ আসনে কোনো মনোনয়ন বাতিল হয়নি এবং মোট ৫ জনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও- ১ আসনে ৬ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়া প্রার্থী হলেন যুব মহিলা লীগের সভাপতি তাহমিনা আক্তার মোল্লা। এই আসনে যাদের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা হয়েছে তারা হলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজাউর রাজী, ওয়ার্কার্স পার্টি প্রার্থী অ্যাডভোকেট ইমরান হোসেন চৌধুরী, এনপিপির প্রার্থী রাজিউর ইসলাম, জাকের পার্টির প্রার্থী মাহবুবুর রহমান, ইসলামী ঐক্য জোটের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম।
ঠাকুরগাঁও -২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন সাতজন। এর মধ্যে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মোজাফফর হোসেনের মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়েছে।
এই আসনে যাদের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা হয়েছে তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী রিম্পা আক্তার, জাকের পার্টির প্রার্থী নুর আলম সিদ্দিক, জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুন নাহার বেগম, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আসলাম জুয়েল।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ৫ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ১ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়া প্রার্থী হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশা মনি।এই আসনে যাদের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা হয়েছে তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইমদাদুল হক, জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী গোপাল চন্দ্র রায়, এনপিপি প্রার্থী শেখ সালাউদ্দিন, বিকল্প ধারার প্রার্থী এসএম খলিলুর রহমান সরকার।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও রিটার্নিং অফিসার মাহবুবুর রহমান মঙ্গলবার সকালে জানান, কাগজপত্রের সকল শর্ত পূরণ না হওয়ায় ২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তবে মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করার সুযোগ থাকছে।
এদিকে মনোনয়ন বাতিল বা স্থগিত হওয়া প্রার্থীদের সূত্রে জানা যায়, তাঁরা প্রত্যেকেই মনোনয়ন ফিরে পেতে