হরতাল-অবরোধের কারণে পর্যটনের ভরা মৌসুমে প্রত্যাশিত সংখ্যক পর্যটক পাওয়া যাচ্ছে না। নভেম্বর থেকে শীতের মাসগুলো পর্যটনের ভরা মৌসুম। তবে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বান্দরবানে পর্যটন খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটন খাতে ভাটা পড়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এতে আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। চলমান অচলাবস্থা অব্যাহত থাকলে তাদের লোকসান আগামীতে আরও বাড়বে বলে মনে করেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
তবে পর্যটন মৌসুমে স্থানগুলো হরতাল ও অবরোধের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পর্যটন মৌসুমের শুরুতে বড় ধরনের ধাক্কা খাচ্ছি। অবরোধের মধ্যে পর্যটক পাচ্ছি না। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য খরচ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েবে। আগাম যেসব বুকিং ছিল সব বালিত হয়ে যায়।পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ জড়িত। এ অবস্থা চলতে থাকলে মারাত্মক ক্ষতিতে পড়বে ব্যবসায়ীরা।
এদিকে শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল বলেন, তিন শতাধিক ট্যুরিস্ট গাড়ির পাঁচ শতাধিক শ্রমিক রয়েছে। তারা পর্যটকের ওপর নির্ভরশীল। অবরোধে পর্যটক না আসায় চালক-শ্রমিকরা অলস সময় কাটাচ্ছে।
আবাসিক হোটেল এর সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, অধিকাংশ মালিকরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে হোটেল ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। পর্যটক না থাকায় কিস্তি চালাতে পারছে না ব্যবসায়ীরা।
ট্যুরিস্ট পুলিশের এ এস আই মো. ফারুক হোসেন বলেন, অবরোধে পর্যটকের সংখ্যা কম। তবে একদম ফাঁকা নয়, স্থানীয় ও আশপাশের ভ্রমণকারীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন।