গতকাল (শনিবার) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাফুফের নিজস্ব এলিট অ্যাকাডেমির ১০ তরুণ ফুটবলারের নিলাম হয়েছে। নিলামে সবচেয়ে বেশি দামে খেলোয়াড় কিনেছে দেশীয় ফুটবলের বড় নাম বসুন্ধরা কিংস। সোয়া তের লাখ টাকায় গোলরক্ষক মোহাম্মদ আসিফকে দলে নিয়েছে তারা।
৫ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যের এই গোলরক্ষককে দলে পেতে রীতিমতো কাড়াকাড়ি করেছে ক্লাবগুলো। বসুন্ধরা কিংস ছাড়াও তার জন্য বিড করেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও আবাহনী। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছেন সেন্টারব্যাক আজিজুল হক অনন্ত। চড়া দামে তাকে কিনেছে ব্রাদার্স।
৯ লাখ টাকায় মিডফিল্ডার চন্দন রায় গিয়েছেন শেখ রাসেলের ঘরে। ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় ফরোয়ার্ড আসাদুল মোল্লাকে ভিড়িয়েছে আবাহনী। ৭ লাখের ঘরে ছিলেন সাজেদ হাসান জুম্মন। তাকে দলে নিয়েছে ফর্টিস এফসি। সাড়ে ৬ লাখ টাকায় ফরোয়ার্ড মিরাজুল ইসলামকেও দলে নিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
ভিত্তিমূল্য ৪ লাখ টাকায় ব্রাদার্সে গিয়েছেন আরও চারজন। ফরোয়ার্ড সুমন সরেন, লেফটব্যাক সিরাজুল ইসলাম রানা, রাইটব্যাক রুবেল শেখ এবং সেন্টারব্যাক ইমরান খানকে নিজেদের করে নিয়েছে ক্লাবটি।
সবমিলিয়ে এবারের নিলামে সর্বোচ্চ খেলোয়াড় দলে নিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। তারা ৬ জন ফুটবলারকে দলে ভিড়িয়েছে। এছাড়া একজন করে খেলোয়াড় কিনেছে বসুন্ধরা কিংস, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, আবাহনী ও ফর্টিস এফসি। তবে নিলামে কোনো খেলোয়াড় কিনতে পারেনি পুলিশ এফসি ও ঢাকা মোহামেডান।
কোন ফুটবলার কোন ক্লাবে
১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা: মো. আসিফ (গোলরক্ষক), বসুন্ধরা কিংস। ১০ লাখ টাকা: আজিজুল হক অনন্ত (সেন্টারব্যাক), ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৯ লাখ টাকা: চন্দন রায় (মিডফিল্ডার), শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা: আসাদুল মোল্লা (ফরোয়ার্ড), আবাহনী লিমিটেড। ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা: সাজেদ হাসান জুম্মন, ফর্টিস এফসি। ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা: মিরাজুল ইসলাম (ফরোয়ার্ড), ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৪ লাখ টাকা: সুমন সরেন (ফরোয়ার্ড), ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৪ লাখ টাকা: সিরাজুল ইসলাম রানা (লেফটব্যাক), ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৪ লাখ টাকা: রুবেল শেখ (রাইটব্যাক), ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৪ লাখ টাকা: ইমরান খান (সেন্টারব্যাক), ব্রাদার্স ইউনিয়ন।