বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : রান তাড়ায় ৭ ওভারের মধ্যেই ছয় উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর রাইডার্স। সিলেটের আগুনে বোলিংয়ে একটা সময় মনে হচ্ছিল লো স্কোরিং ম্যাচটিতে জয় পেতে যাচ্ছে মাশরাফী বিন মোত্তর্জার দলটি। কিন্তু বাবর আজম ও আজমতউল্লাহ জুটিতে সিলেটের স্বপ্ন ভঙ্গ করে আসরের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে নুরুল হাসানের দল।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১২০ রান সংগ্রহ করে সিলেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১০ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর রাইডার্স।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় রংপুর। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রনি তালুকদার ও বাবর আজম। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত হানেন রিচার্ড এনগারাভা।
ম্যাচের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে এনগারাভার ওপর চড়াও হতে গিয়ে জাকিরের তালুবন্দী হন রনি। আউট হওয়ার আগে ৬ রান করেন তিনি।
এরপর ক্রিজে আসেন ব্রেন্ডন কিং। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই ৫ বলে ডাক খেয়েছেন তিনি। পরে ব্যাট হাতে ভালো শুরু করেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান। তানজিম সাকিবকে উড়ে মারতে গিয়ে বেন কাটিংয়ের হাতে বন্দী হন এ ডানহাতি ব্যাটার।
ম্যাচের সপ্তম ওভারে রংপুরের ব্যাটিং ডেরায় রীতিমতো তাণ্ডব চালান স্ট্রাইকার্স স্পিনার দুশান হেমান্ত। এক ওভারেই শামীম পাটোয়ারী, মোহাম্মদ নবী ও শেখ মাহেদীকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান তিনি। শামীম (২) রানের খাতা খুললেও নবী ও মাহেদী ফেরেন শূন্য রানে।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রংপুর। কিন্তু ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বাবর আজম ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এ জুটির ব্যাট থেকে আসে গুরুত্বপূর্ণ ৮৬ রান। মূলত, তাদের ব্যাটেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে নুরুল হাসানের দল।
এদিন ব্যাট হাতে লড়াকু ফিফটি তুলে নেন বাবর। পাশাপাশি তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া আজমতউল্লাহ ওমরজাই খেলেন ৪৭ রানের ম্যাচ উইনিং নক। সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন দুশান হেমান্ত।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তার সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণেই যেন নামেন বোলাররা। শুরু থেকেই তারা শিকার করতে থাকেন একেরপর এক উইকেট।
শুরুটা হয় মোহাম্মদ মিঠুনকে দিয়ে। তিনে নেমে ব্যর্থতা উপহার দেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। ইয়াসির আলী রাব্বি ও জাকির হাসানও আজ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। প্রত্যেকেই সিঙ্গেল ডিজিটে আউট হন।
নাজমুল হোসেন শান্তও ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি। মাত্র ৩৯ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়ে সিলেট। এ অবস্থায় দলের হাল ধরেন বেনি হাওয়েল ও বেন কাটিং। দুজনে গড়েন ৬৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি।
ইনিংসের শেষদিকে ৩১ রানে আউট হন কাটিং। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন হাওয়েল। রংপুরের হয়ে মাহেদী হাসান ও রিপন মন্ডল দুটি এবং মোহাম্মদ নবী ও হাসান মুরাদ একটি করে উইকেট নেন।