1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
হাতিয়া প্রেসক্লাবে গণতান্ত্রিক ভোটে নতুন কমিটি গঠন ক্রীড়াঙ্গনের মাধ্যমে মাদকমুক্ত সুস্থ জাতি তৈরি করতে চাই : আমিনুল হক কাউখালীতে অবৈধ তিনটি ইটভাটা বন্ধ ও অর্থদন্ড জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ছাত্র-জনতার অর্জিত ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে” —— মিয়া গোলাম পরওয়ার। দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে আ.লীগ: মির্জা ফখরুল মরহুম আনিসুল হক স্মৃতি একাদশকে উড়িয়ে সেমিফাইনালে সোনারপাড়া এফসি রাবিপ্রবি’র নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে প্রফেসর ড. মোঃ আতিয়ার রহমান এর যোগদান গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের শীতবস্ত্র বিতরণ বিএফআইইউ-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাব দাউদকান্দিতে ৩০০ শীতার্তদের পাশে দাঁড়ালো আলোর দিশারী মানবসেবা সংগঠন

বাবা ধাক্কা দিয়ে ফেলে না দিলে হয়তো প্রাণে বাঁচতাম না: তাসনিয়া ফারিণ

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৭৮ বার দেখা হয়েছে

এবার আহত হওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিস্তারিত ফেসবুকে লিখেছেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। তার ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে দেয়া হল।

`গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার আশে পাশে যমুনা ফিউচার পার্কের 1st floor থেকে ground floor এ নামার সময় গেট দিয়ে ঢুকেই যে মেইন escalator টা সেটায় আমার দুর্ঘটনা ঘটে। সিঁড়ির নিচে যে এলুমিনিয়ামের নাকি স্টিলের সেটা জানি না, সে পাত খুলে বের হয়ে ধারালো কোনা আমার পায়ে আঘাত করে।

আমি সিঁড়ির ডান পাশে ছিলাম। আর ওইটা ছিল ঊর্ধ্বমুখী। কলিসন হয় আমার পরনের প্যান্ট ছিঁড়ে যায় অনেকটুকু আর পায়ের বিভিন্ন স্থানে ছিলে যায় ও ডিপ কাট হয় যেটা পরবর্তীতে টের পাই। কিন্তু ঐ মুহূর্তের শুধু একটা ইমেজ আমার মাথায় ঘুরে ফিরে বারবার আসছে তা হল কিছু বোঝার আগে সবাই গগনবিদারী চিৎকার করে উঠল আর আমি দেখলাম ডান পা স্ক্র্যাচ করে পায়ের পাশ দিয়ে মাঝখান হয়ে বাম পায়ের উপরের দিকে একটা পাত ঢুকে যাচ্ছে আর চলন্ত সিঁড়িটিও আমাকে আরো সেদিকেই ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।

যদি গতকাল fraction of second এর মধ্যে আমাকে আমার ভাই পেছন থেকে টান দিয়ে না সরাত বা আমার বাবা যদি আমাদের দুই জনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে না দিত আমি জানি না আজকে এই status লেখার জন্য আমি বেঁচে থাকতাম কিনা। হয়ত থাকতাম তবে আমার পা থাকত না বা আমি কখনো মা হতে পারতাম না। সে পরিস্থিতির ভয়াবহতা হয়ত লিখে বা বলে বোঝানো সম্ভব না। আমি নিচে নেমে দাঁড়ানোর কয়েক সেকেন্ডের কিছুই আমার মনে নেই। সম্বিত ফেরার পর দেখি আমার হাঁটুর উপর থেকে প্যান্ট ছেড়া এবং পুরো পা ঝা ঝা করছে। ততক্ষনে অনেক লোক জড়ো হয়ে গেছে।

মজার ব্যাপার হল আমার এই ঘটনাকে আমি এক্সিডেন্ট মানতে নারাজ। কারন আমার এই ঘটনা ঘটার কমপক্ষে পনের মিনিট আগে আরেক ব্যক্তির সাথে একই ঘটনা ঘটে। তার পায়ের মাংস ভেদ করে ওই পাতের কোনা ঢুকে যায়। উনি নিজে অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে লোকজন নাকি সাবধান করছিলেন এবং দায়িত্ববান কাউকে খুঁজছিলেন। শেষে কাউকে না পেয়ে help desk এ যান এবং এরমধ্যে আমার এই ঘটনা ঘটে সাথে আরো একজন ভুক্তোভোগীকে খুঁজে পাই।

আমার চিৎকার চেঁচামেচিতে ফাইনালি একজন স্টাফ আসে এবং অনেকবার বলার পর ম্যানেজার কল করে। ততক্ষণে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়ে যাচ্ছে আর ব্যথার চেয়ে বেশি ফিল হচ্ছিল হিউমিলিয়েশন। ওখানে কোনো scene create করার চেয়ে আমার মনে হয়েছে ঠাণ্ডা মাথায় এটার solution করা দরকার। তাই আমি বলার পর দুই জন কর্মচারী আমাদের তিনজন আহত ব্যক্তি ও তাদের সাথে যারা ছিল সবাইকে বেসমেন্ট ১ এ নিয়ে যায়।

আমাদের ধারনা ছিল নিশ্চয়ই দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। আশ্চর্য বিষয় হল এতবড় মলে কোনো অ্যাম্বুলেন্স অথবা first responder তো দুরে থাক একটা first aid box নেই!! একটা first aid box! পনের বিশ মিনিট তারা শুধু এই ফার্মেসি সেই ফার্মেসি ফোন করল। কেউ নাকি দোকান ছেড়ে আসতে পারবে না। অবশেষে আধাঘন্টা পর একজন আসে, আর ওই দুই ব্যক্তির চিকিৎসা করে। কিন্তু ফিমেল ডক্টর ছাড়া আমার চিকিৎসা সম্ভব ছিল না।

এর মধ্যে আমার ভাই কে পাঠালাম একটা ট্রাউজার কিনে আনার জন্য। যমুনা ফিউচার পার্কের কর্তৃপক্ষের মতে এই দুর্ঘটনা নাকি বেশি লোক ওঠার কারনে হয়েছে! তার মানে কি আপনারা আগে থেকেই জানতেন? নাকি ধারন ক্ষমতার বেশি লোড নিয়ে আগে থেকেই এই অবস্থায় ছিল তা আপনারা টেরই পান নি? আর একজনের সাথে এটা হওয়ার পরও কেনো কোনো একশন নেননি আপনারা?

এস্কেলেটর এর দায়িত্বে থাকা কাউকে ডাকতে বললে বলে সে আসেনি। আর আমার এই পরিস্থিতিতে তারা আমাকে চা কফি অফার করে যেখানে আমার বসার মত পরিস্থিতিতে নেই। যা হোক কাপড় বদলে আমাদের গাড়ি করে এভারকেয়ারের ইমার্জেন্সিতে যাই। ড্রেসিং, স্টিচিং, এক্সরে, ইনজেকশনের পর রাত ১২ টায় ছাড়া পাই।

তাদের একজন কর্মকর্তা হসপিটাল পর্যন্ত আসে আমরা বলার কারনে এবং বিলের প্রসঙ্গ উঠতে বলে “আমি কেন দিব?” আপনাদের দুই চার টাকার আমার দরকারও নাই বাট মানবিকতাও নাই?! যেখানে আপনারা নিজে দোষ স্বীকার করেছেন এবং আপনার কাছে কোনো ক্ষতিপূরণ পর্যন্ত আমি চাই নি। একটা সামান্য ইমারজেন্সির বিল দেয়ার মানসিকতা আপনাদের নেই? উনাদের মতে এটার বিচার হচ্ছে তারা অভ্যন্তরীনভাবে সুষ্ঠ (!) তদন্ত করবেন।

আজকে আমার বা অন্য কারো প্রাণ গেলেও তাদের কিছুই আশা যেত না। আমার সারারাত ঘুম হয়নি। মেন্টালি ট্রমাটাইজড। আমার ভাই যদি আমার পেছনে আজকে না থাকত বা আমাকে ধরতে যদি একটু দেরি করে ফেলত তার পর কি হত আমি চিন্তাও করতে চাই না। আল্লাহ যাতে কাউকে জীবনে এই পরিস্থিতিতে না ফেলে। আর আপনারা লিফট বা এসকেলেটর যাই ব্যবহার করেন না কেন নিজের সাবধানতা অবলম্বন করবেন।

আমি শারীরিকভাবে সুস্থ আছি। ডক্টর পাঁচ দিন বেড রেস্ট আর এন্টিবায়োটিক দিয়েছে। বোন ইনজুরি হয়নি। বসতে পারছি না আর ডান দিকে কাত হয়ে শুতে হচ্ছে। তবে মানসিক এই ট্রমা কি আদৌ কোনদিন কাটবে কিনা জানি না। সবচেয়ে বেশি ফিল হচ্ছে হতাশা। মরে গেলেই মানুষ কোনো বিচার পায় না। আমি তো বেঁচে আছি আমার আর কি বিচার হবে।

উল্লেখ্য, ১৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে তাঁর আলোচিত ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’-এর দ্বিতীয় কিস্তি। চলতি মাসেই ‘আরও এক পৃথিবী’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ছবিটির মুক্তি পিছিয়ে গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com