ঘরের বাসিন্দা মো. ইব্রাহীম জানান, ঘটনার সময় তার স্ত্রী-সন্তান ঘরে ছিল না। তিনিও ছিলেন কাজে। সেখান থেকে ফিরে দেখেন বারান্দাসহ ঘরের অনেকাংশ ভেঙে পড়েছে। প্রকল্পের ঘর পাওয়া আরেক বাসিন্দা মাহফুজা বলেন, ‘ওইদিন বিকেলের বৃষ্টিতে বালু সরে গিয়ে আমার ঘরেরও অনেকটা অংশ ভেঙে পড়েছে।’
ওই এলাকার ঘর পাওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, অন্য ঘরগুলোও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পাঁচ মাস আগে তারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়েছেন। এরই মধ্যে অনেক ঘরেরই দেওয়াল ও মেঝে থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই টিনের চালার বিভিন্ন জায়গা দিয়ে পানি ভেতরে পড়ছে। জানালা-দরজাও নড়বড়ে।
এ ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশ না করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘অতিবৃষ্টির কারণে সেখানে দু-একটি ঘরে সমস্যা হয়েছে। আর কোনো সমস্যা নেই, ছোটখাটো কোনো সমস্যা থাকলে এক সপ্তাহ সময় দেন, সব ঠিক করে দেব।’
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. রাশেদুর রহমান বলেন, ‘ঘর দুটি ভেঙে পড়ার বিষয়টি একটি দুর্ঘটনা মাত্র। ঘটনার পরপরই প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছি। সেগুলো দ্রুত মেরামতেরও ব্যবস্থা করেছি।’