বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: রাজধানীতে বাসে উঠে ফ্রিতে হালুয়া খেয়ে প্রায় এক লাখ টাকা খুইয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সিনিয়র টেকনোলজিস্টও রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। তাদের তিনজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে স্টোমাক ওয়াশ করানো হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা হলেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজের সিনিয়র টেকনোলজিস্ট আশিকুর রহমান, ট্রাভেল এজেন্সির ম্যানেজার শাহনেওয়াজ ও কারওয়ান বাজারের হার্ডওয়ার দোকানের কর্মচারী মো. সোহাগ।
আশিকুর রহমানের ছেলে আদিব বলেন, আমার বাবা কাকলী থেকে গাজীপুর পরিবহনের একটি বাসে পল্টনে যাওয়ার জন্য ওঠেন। পাশের সিটের এক যাত্রীর কাছ থেকে হালুয়া খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে তার কাছে থাকা ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেন ওই যাত্রী। বাসের হেলপার আমার বাবাকে মতিঝিল বাস কাউন্টারে নামিয়ে দেন। পরে সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খবর দিলে আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসাপাতালে নিয়ে আসি। স্টোমাক ওয়াশ করার পর তাকে নতুন ভবনের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আশিকুর নিজেই জানান, তিনি বনানীর কাকলী থেকে ওই বাসে ওঠেন। তার নামার কথা ছিল পল্টনে। তবে তার পাশের সিটের একজন হকারের কাছ থেকে ফ্রিতে প্যাকেটজাত হালুয়া খান। এরপর কী হয়েছে তার আর কিছু জানা নেই। তবে তার কাছে ৩৫ হাজার টাকা ছিল। সেই টাকা খোয়া গেছে বলে জানান তিনি।
ভুক্তভোগী শাহনেওয়াজের মেয়ের জামাই খাইরুল আলম মজুমদার জানান, তার বাসা উত্তর বাড্ডায়। ফকিরাপুলে এটিভি ট্রাভেল এজেন্সির ম্যানেজার তিনি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর বেলা দেড়টার দিকে পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে বাসের স্টাফরা তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন থেকে স্বজনদের খবর দেন, বাসের ভেতর অচেতন হয়ে পড়ে রয়েছে শাহনেওয়াজ। তখন স্বজনরা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি আরো জানান, রাইদা পরিবহনের বাসে করে অফিসে যাওয়ার সময় তিনি অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েছেন বলে ধারণা তাদের। তার কাছ থেকে আট হাজার টাকা খোয়া গেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মুমিন জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া বাস কাউন্টার থেকে সোহাগ নামে এক যুবককে উদ্ধার করা হয়। কোনো বাসের ভেতর তিনি অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল থেকে স্টোমাক ওয়াশ করানোর পর তাকে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সোহাগ কারওয়ান বাজারে জনতা হার্ডওয়ার নামে একটি দোকানের কর্মচারী। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। তার কাছ থেকে ৪৪ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।