সরকার নাকি বেগম জিয়াকে ভয়ে বিদেশ যেতে দিচ্ছে না, বিএনপি মহাসচিবের এই অভিযোগের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই বেগম জিয়ার চিকিৎসা চায় কিনা তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ আছে। যে নেত্রীর মুক্তির জন্য বিএনপি একটি মিছিলও করতে পারে না, তাদের মুখে মায়াকান্না মানায় না।’
শেখ হাসিনা সরকার বেগম জিয়া কিংবা ক্ষয়িষ্ণু বিএনপিকে ভয় পায় না। বরং তার বয়স এবং স্বাস্থ্যের ওপর নজর দিয়ে সাজা স্থগিত করেছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এ উদারতা একমাত্র শেখ হাসিনাই দেখিয়েছেন। শেখ হাসিনার উদারতাকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল করবে।’
সংবিধান সম্মতভাবেই পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন ও নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের জন্য বিএনপি প্রস্তুতি শুরু করেছে।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। এ সময় মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘লকডাউনের পরে আবারও পরিবহনে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। এ অবস্থায় যাত্রী সাধারণের চলাচলে সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীর উত্তরায় পুনরায় চক্রাকার বাস সেবা চালু করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার পর ধানমন্ডি এলাকায় চক্রাকার বাস সেবা পুনরায় চালুরও প্রস্তুতি রয়েছে।’
বিআরটিসির মতো সেবা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি যাতে বাসা বাঁধতে না পারে সে দিকে কঠোর নজর দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুর্নীতির বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে। সুতরাং যেকোনো মূল্যে বিআরটিসিকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে।’