বঙ্গনিউজবিডি রিপোর্ট : আওয়ামী লীগ ছাড়া রাষ্ট্র ক্ষমতা অন্য কারও হাতে গেলে তারা দেশটাকে পাকিস্তান বানাবে। এটি দেশের মানুষকে বোঝাতে হবে। এখন সময় এসেছে বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ সবাইকে মাঠে নেমে কাজ করতে হবে।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী কবি ও স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন
বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক প্রয়াত সভাপতি ডা. এস এ মালেকের জন্মদিনে স্মৃতিতর্পণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি কবিতা আবৃত্তির সুরে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ লক্ষ্য শহীদ মূল্য সবার দান। বিএনপির মাথায় ঘোরে পেয়ারা পাকিস্তান। স্বাধীনতা বিরোধী রক্ত যখন ধমনীতে বয়। রাজাকারের বাচ্চারা সব এমন কথাই কয়। কষ্টে পাওয়া স্বাধীনতা নাইকো সমাদর….।
তিনি বলেন, সম্প্রতি বিএনপির সিনিয়র নেতা মির্জা ফকরুল ইসলাম যখন বলেন পাকিস্তান আমলে আমরা ভালো ছিলাম। তাতেই বোঝা যায় দেশ বিরোধী ওরা রাজাকারের জাত না হলে এমন কথা বলতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ডা. এস এ মালেক একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও কলামিস্ট ড. মালেক বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃত্ব দিয়ে সংগঠনটিকে দেশে-বিদেশে জনপ্রিয় করে তোলেন। আজ ডা. এস এ মালেক জন্মদিনে তার মত আমাদেরও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভাবতে হবে। দেশের জন্য কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সংসদ সদস্য ড. এস এ মালেকের স্মরণ সভায় সভাপতিত্বকালে অধ্যাপক আরেফিন বলেন, তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি সৎ, দেশপ্রেমিক ও বঙ্গবন্ধুপ্রেমি একজন মানুষ ছিলেন। তার আদর্শ অনুসরণ করা মানে একজন সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়া।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া তার বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ডা. মালেকের রাজনীতি ও কাজের অনুপ্রেরণার অন্তহীন উৎস। তিনি বলেন, ডাক্তার মালেক তার লেখার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মানবিক মূল্যবোধ, সাহসিকতা, ত্যাগ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা তুলে ধরেন।
অন্য বক্তারা বলেন, ডাক্তার মালেক ছিলেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। যার আদর্শবাদিতা ও সততা ছিল অন্যদের জন্য অনুকরণীয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অন্যতম জীবন্ত বাতিঘর ছিলেন। এই মহান ব্যক্তিত্বের জীবন ও কর্ম নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা জরুরী। এতে করে আমাদের আগামীর সমৃদ্ধ, সুখি ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে পুনরায় উদ্দীপ্ত হব।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. এস এ মালেকের ছেলে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. লিয়াকত হোসেন মোড়ল ও সমাজতত্ত্ববিদ ও গবেষক ড. খন্দকার সাখাওয়াত আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভার শেষে ডা. মালেকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।