1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ অপরাহ্ন

বিএনপি-জামায়াতের নামে অবৈধ বালুতে চাঁদা তুলছে দুর্বৃত্তরা

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৪৭ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: নীলফামারী সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চারালকাটা নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের আবাদি জমি। মাটিবাহী ট্রাকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাস্তা-ঘাট। হুমকিতে পড়েছে নদীর ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কও।

এদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএনপি-জামায়াতের নামে ওই বালু বিক্রির চক্রের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে দুর্বৃত্তরা। এর প্রতিবাদ জানিয়ে চাঁদা নেওয়া দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও নদীর বালু বিক্রি বন্ধ করে সেতুর সংযোগ সড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা।

স্থানীয় বিএনপির কর্মী আবু হানিফ বলেন, আসলে কে বা কারা আমাদের দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করে তার দায়ভার দল কখনো নেবে না। আর যাদের নামে অভিযোগ এসেছে তারা আমাদের দলের কেউ না। তারা যদি বিএনপি দাবি করে খারাপ কাজ করে এর দায়ভার বিএনপি নেবে না। আমাদের জেলা ও উপজেলা কমিটি আছে, তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জামায়াতের কচুকাটা ইউনিয়নের সেক্রেটারি মানিক ইসলাম বলেন, এখান থেকে অবৈধভাবে বালু নিয়ে যাওয়ার কারণে আমাদের বাজিতপাড়া ঘাটেরপাড়ের ব্রিজের মোকাম ভেঙে গেছে। এজন্য আমরা এলাকাবাসী রাস্তা ও ব্রিজ রক্ষার জন্য দাঁড়িয়েছি। তারা আমাকেসহ অনেককে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী উদার ইসলাম বলেন, ঘাটের পাড় এলাকায় এরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। যার কারণে এই জায়গাটা ভেঙে গেছে ও বাকি অংশ কয়েকদিনের মধ্যে পুরোটায় ভেঙে যাবে। এখানে যাদের নাম আসছে তারা সুবিধাবাদী দলের লোক। আমরা এরইমধ্যে ইউএনওকে জানিয়েছি। আমরা চাই অতি দ্রুত বালু উত্তোলন বন্ধ হোক।

অভিযুক্ত লিমন ইসলাম বলেন, কিছু নামধারী জামায়াত ও বিএনপির নেতা যারা এখন মাথাচাড়া দিয়ে চাঁদা দাবি করতেছে। তারা মামলার ভয়ে এতদিন পালিয়ে ছিল। আমি শৈশব থেকে বিএনপি করি। নীলফামারীর এমন কোনো লিডার নেই, যে আমাকে চিনে না। আগে কলেজের সিনিয়র আহ্বায়ক ছিলাম। পৌর আহ্বায়ক ছিলাম। যেহেতু ১৭ বছর থেকে দল ক্ষমতায় নেই তাই ব্যবসায় মনোযোগ দিয়েছি। আমি ঘাটপাড়া থেকে বালু কিনেছি। সেখানে অনেকে বিএনপির পরিচয় দিয়ে টাকা চায়। আমি বলছি আমি বিএনপি করি আপনাদের কেন টাকা দেবো। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আমার বাগবিতণ্ডা হয়েছে। আমি আর ওখান থেকে বালু নেবো না।

জামায়াতের ইউনিয়ন আমির আব্দুল হাই বলেন, লিমন ছেলেটি আগে দল করত। বর্তমানে দল থেকে বহিষ্কৃত আছে। বুধবার বসা হবে। এরপর তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো দেখা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com