বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : নরসিংদীর মনোহরদীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এর মধ্যে চোখে গুলিবিদ্ধ বিএনপির ২ সমর্থককে গুরুতর আহতবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যদের কিশোরগঞ্জের ভাগলপুর শিবপুরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এসময় প্রায় শতাধিক রাউন্ড গুলি ছুড়েছে পুলিশ।
রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুরে জেলার মনোহরদী হাফিজপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিএনপির স্থানীয় সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল ঢাকা পোস্টকে অভিযোগ করে বলেছেন, বিএনপির মিছিলে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অর্তকিত হামালা চালায়। এতে তাদের ২৭ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধসহ ৩৮ জন আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেছেন।
তবে পুলিশের দাবি, বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে উশৃঙ্খল আচরণ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা পুলিশকে লক্ষ করে ইট পাটকেল ছুড়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করা হয়।
জানা যায়, খুন, গুম ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিসহ ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম ও জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের মৃত্যুর প্রতিবাদে মনোহরদী হেতেমদী ইটাখোলা মাঠে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।
এরই ধারাবাহিকতায় মনোহরদী বেলাব আসনের সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কিছু দূর গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছুড়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের হটাতে রাবার বুলেট ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে। এতে ১০ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়।
মনোহরদী বেলাব আসনের সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল বলেন, আমরা মিছিল নিয়ে বের হওয়ার পরই পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়্। এতে আমাদের ২৭ জন গুলিবিদ্ধ সহ ৩৮ জন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান জানায়, মানুষের জানমাল রক্ষায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও দাসহ মিছিল বের করেন।
তাদের বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করা হয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় পুলিশের ১০ জন সদস্য আহত হয়েছেন।