সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবেদক যা জেনেছেন, যেখানে স্থানীয় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বহু বিতর্কিত সাংসদ শামীম ওসমানের জনপ্রিয়তা এড. তৈমুরের নিকট কিছুই নয় সেখানে ডা. আইভি কোন অর্থেই প্রতিদ্বন্দিতায় আসতে পারবেন না। এড. তৈমুরের বিজয় একপ্রকার নিশ্চিত বলা যায়। তবে এখনো চূড়ান্ত কোন স্বীদ্ধান্ত গ্রহণের সময় হয় নাই। যেহেতু ডাঃ আইভি’র রয়েছে বহু বছরের অভিজ্ঞতা এবং কর্মে সততা, আপমর জনসাধারণের যা পছন্দ।
এদিকে নাসিক নির্বাচনকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে বরাবরের ন্যায় এবারো দেখা দিয়েছে বিভক্তি। গত ৩ ডিসেম্বর নাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয়ভাবে ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভি’র নাম ঘোষণা করা হয়। তবে এই মনোনয়ন দেওয়ার আগে চলতে থাকে বহু নাটকীয় ঘটনা। তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে একের পর এক সমাবেশ করা হয়। আইভি-কে বিভিন্ন ভাবে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। তাকে মনোনয়ন দানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিমত ব্যক্ত করে চলতে থাকে বক্তৃতা বিবৃতি। কিন্তু তাকে মনোনয়ন দানের ঘোষণা আসার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান-এর নেতৃত্বে ক্ষুদ্র একটি অংশ ব্যতীত জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ সমর্থক পর্যন্ত সকলেই ডাঃ আইভি’র সমর্থনে নির্বাচনি মাঠে নেমে পড়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে ডাঃ আইভি-কে সমর্থন ঘোষণা করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট আনিসুর রহমান দীপু, তারাবো পৌর মেয়র হাসিনা গাজী, সহ-সভাপতি এডভোকেট আসাদুজ্জামান, যুগ্ম-সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, সদস্য শহীদ উল্লাহ, আবদুল কাদের, আদিনাথ বসু প্রমুখ। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের নেতৃত্বে মেয়র পদে মনোনয়ন প্রার্থী এড. খোকন সাহা, এড. আবুল হাসনাত বাদল, চন্দন শীল-সহ জেলা আওয়ামী লীগের একটি ক্ষুদ্র অংশ ৮ ডিসেম্বরের উক্ত সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। তারা ডাঃ আইভি’র মনোনয়ন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে এখন তার বিরুদ্ধে অতিব চতুরতার সাথে প্রচার-প্রপাগান্ডায় লিপ্ত রয়েছেন। বিষয়টি জেলার আপামর জনসাধারণ ভালো চোখে দেখছে না। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারনী নেতৃবৃন্দও এতদ বিষয়ে বিরক্ত বলে জানা যায়।
নাসিক নির্বাচনকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের এই বিভক্তি নতুন কোন বিষয় নয়। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইতিহাস জানার প্রয়োজনে এই প্রতিবেদক সংশ্লিষ্ট জেলার বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের সাথে কথা বলেছেন। এতে তিনি যা জানতে পেরেছেন ; আওয়ামী লীগের গঠন প্রকৃয়া, মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা অর্জন এবং স্বাধীনতা উত্তর দেশ গঠনসহ গত ৫০ বছরে সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলো এবং আছে ৩ টি পরিবার। পরিবারগুলো হচ্ছে ওসমান পরিবার, চুনকা পরিবার এবং ভূইয়া পরিবার।
ওসমান পরিবারের পুরোধা ছিলেন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব খান বাহাদুর ওসমান আলী। আওয়ামী লীগের গঠন প্রক্রিয়া, পাকিস্তানি শোষণ বিরোধী আন্দোলনসহ বহুবিধ ইতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য ওসমান সাহেবের নাম বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ রয়েছে। এই পরিবারের দ্বিতীয় প্রজন্মের রাজনীতিবিদ ছিলেন ৬৯ এর গণআন্দোলন, ৭০ এর নির্বাচন এবং সর্বোপরি ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শামসুজ্জোহা ওসমান। এখন এই পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সময় চলমান। একই সঙ্গে চতুর্থ প্রজন্মও বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে তাদের আগমনের ঘোষণা দিচ্ছে। বর্তমানে পরিবারটির তৃতীয় প্রজন্মের নেতৃত্বে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ জাতীয় পার্টি নেতা সেলিম ওসমান এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান। সুবিধাবাদি রাজনীতি বলতে যা বুঝায় তাতে হাবুডুবু খাচ্ছে স্বনামধন্য ওসমান পরিবারের বর্তমান এই তৃতীয় প্রজন্ম। যখন যে পার্টি করলে সাংসদ হওয়া যাবে, ক্ষমতার স্বাদ পাওয়া যাবে, প্রচুর বিত্তবৈভব অর্জন করা যাবে তখন সে পার্টি করতে তাদের কোন দ্বিধা নেই। প্রয়াত নাসিম ওসমান, বর্তমানে সেলিম ওসমান জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে বারবার সাংসদ নির্বাচিত হয়ে সুবিধাবাদি রাজনীতির স্বাক্ষর রেখেছেন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান আওয়ামী রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন শেষ নাই। নিজ জেলায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, টাকার বিনিময়ে দলীয় পদ-পদবি বিক্রি, টাকার বিনিময়ে বিবিধ নির্বাচনে মনোনয়ন বিক্রিসহ খুনোখুনিতে জড়িত অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাথে সখ্য ইত্যাদি বহু অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত ৭ খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন তার অতিব ঘনিষ্ঠজন এবং ব্যবসায়ীক পার্টনার। শামীম ওসমান যদি ইচ্ছা করেন সপ্তাহে ৫০ কোটি টাকা চাঁদা তুলবেন, তবে তা তার পক্ষে মোটেই অসম্ভব কিছু নয়। অভিযোগ রয়েছে যে, তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে ব্যবসায়ীরা সততার সাথে ব্যবসায় করতে পারছে না, কলকারখানার মালিকরা গোলযোগ মুক্ত পরিবেশে নিত্য পন্য উৎপাদন করতে পারছে না, জমি বাড়িঘরের মালিকরা নিজের বৈধ সম্পত্তির ভোগদখলে যেতে পারছে না, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সন্ত্রাস মুক্ত পরিবেশে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। তার যদি কোন কুপরিকল্পনা থাকে তাহলে তিনি একটি সমাবেশের আয়োজন করে বলতে থাকেন, ” আমি নেত্রীর সাথে কথা বলেছি, কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দের সাথে কথা বলেছি, স্থানীয় পুলিশ র্যাব প্রধানদের সাথে কথা বলেছি, জন প্রশাসনে যারা আছেন তাদের সাথে কথা বলেছি, আমার কাছে খবর আছে জেলায় বিরাট সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পরিকল্পনা করছে জঙ্গি গোষ্ঠী। এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে প্রতিহত করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। ” স্থানীয় জনসাধারণ তার এসব কথার মর্মার্থ বুঝলেও টু শব্দটি করার সাহস পায় না। এই পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের বিরুদ্ধেও ইতিমধ্যে খুনখারাবিসহ বিবিধ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত হওয়ার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। জেলার উদীয়মান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তকি হত্যার জন্য তাদের সন্দেহ করা হচ্ছে দীর্ঘদিন যাবৎ।
নারায়ণগঞ্জ রাজনৈতিক অঙ্গনে জনপ্রিয় দ্বিতীয় পরিবারটি হলো চুনকা পরিবার। এই পরিবারের পুরোধা ছিলেন প্রয়াত আলি আহমেদ চুনকা।বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সাথে চুনকা সাহেবের নাম অঙ্গাঙ্গী ভাবে সম্পৃক্ত। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৯ এর গণআন্দোলন, ৭০ এর নির্বাচন, ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং স্বাধীনতা উত্তরকালে রাষ্ট্রীয় পুর্নগঠনে তিনি নিজ জেলা নারায়ণগঞ্জের প্রভূত উন্নয়ন সাধন করেন।১৯৭৩ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন্। তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারটির জেলার রাজনৈতিক কর্মকান্ডে কিছুটা ছন্দপতন ঘটে। কারণ তার সুযোগ্য ও জনপ্রিয় কন্যা ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভি তখন উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশে অবস্থান করছিলেন। উচ্চ শিক্ষা সমাপনান্তে ডাঃ আইভি দেশে ফিরে এসে বাবার রাজনৈতিক আদর্শকে বুকে লালন করে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হন্। বর্তমানে তিনি প্রায় ১৫ বছর যাবত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত মেয়র। দূর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে জেলা ও কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তিনি সমানভাবে সমাদৃত।
নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতৃত্ব দানকারী তৃতীয় পরিবারটি হলো ভূ্ঁইয়া পরিবার। এই পরিবারের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন প্রয়াত রমিজউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া। ১৯৪৬ সালে পাকিস্তান মুসলিম ছাত্র-লীগে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাত। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা অর্জন এবং স্বাধীনতা উত্তরকালে দেশ পুর্নগঠনে তার ভূমিকা জাতি চিরদিন স্মরণে রাখবে। ১৯৬৯ সালে বিখ্যাত আদমজী জুট মিল শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে রেহাই পেয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আদমজীতে আসলে জনাব ভূঁইয়া বঙ্গবন্ধুকে সোনার নৌকা উপহার দিয়ে ইতিহাস রচনা করেন। ১৯৭২ সালে দেশ পুর্নগঠনে নিজ জেলায় পূর্নবাসন ও রিলিফ কমিটির দায়িত্ব তিনি অত্যন্ত সুনামের সাথে পালন করেন। আওয়ামী লীগের আমৃত্যু কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্লোভ রমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া ১৯৭৩ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েও নির্বাচন করা থেকে বিরত থাকেন। ১৯৯৯ সালে মৃত্যু বরণ করার আগপর্যন্ত তিনি দেশ ও জাতির কল্যানে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। নিজে কোন নির্বাচন না করলেও সহোদর ভ্রাতা নজরুল ইসলাম ভূঁইয়াকে গোদনাইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়যুক্ত করতে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ছিলেন তিনি। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ রাজনীতিতে ভূঁইয়া পরিবারের দ্বিতীয় প্রজন্ম সক্রিয় রয়েছে। রমিজ উদ্দিন ভূঁইয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র এনামুল হক ভূঁইয়া বাদল সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সাথে সম্পৃক্ত। তবে তিনি মনে করেন, রাজনীতি এখন আর ভদ্রলোকের কাজ নয়। দ্বিতীয় পুত্র জাকির হোসেন ভূঁইয়া ফ্রান্স আওয়ামী লীগের একজন উর্ধতন নেতা। তবে আশার বিষয় হলো, সংশ্লিষ্ট ভ্রাতৃদ্বয় তদীয় চাচাতো বোন নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার একমাত্র কন্যা তাসনুভা নওরীন ইসলাম ভূঁইয়ার নির্বাচনী প্রচারাভিযানে বেশ সক্রিয়। তাসনুভা নওরীন ইসলাম ভূঁইয়া আগামী নাসিক নির্বাচনে ৭,৮, ও ৯ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদিকে ভূঁইয়া পরিবারের সদস্য নন্, কিন্তু জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার বৈবাহিক সূত্রে উক্ত পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত এড. আনিসুর রহমান দীপু নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এবং বেশ কয়েকবার নারায়নগঞ্জ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। তার ক্লিন ইমেজের কারণে তিনি জেলা এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী নেতৃবৃন্দের কাছে বেশ সমাদৃত। বর্তমান নাসিক নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডাঃ আইভি’র প্রধান নির্বাচনি মুখপাত্র/ সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
আগামী নাসিক নির্বাচন রাজনৈতিক হানাহানি মুক্ত থাকতে পারে নাই। নায়ায়নগঞ্জ আওয়ামী রাজনীতি এখন আইভি গ্রুপ ও শামীম ওসমান গ্রুপে বিভক্ত। ৮ নং ওয়ার্ডের বহুবার নির্বাচিত কাউন্সিলর রুহুল আমীন ভূঁইয়া এবারো সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তার নির্বাচনি প্রচারাভিযানের প্রধান সমন্বয়ক হলেন এনামূল হক ভূঁইয়া বাদল। তারা উভয়ই আইভি গ্রুপের লোক হিসেবে পরিচিত। এই কারণে শামীম ওসমান গ্রুপের প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদ লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে এনামুল হক ভূঁইয়া বাদলকে গুরুতর ভাবে আহত করেন। বিষয়েটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
এদিকে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন প্রার্থী ৬ জনের প্রার্থীতাকে বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভি, স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী এড. তৈমুর আলম খন্দকার, খেলাফত আন্দোলন প্রার্থী মোঃ জসিম উদ্দিন, খেলাফত মজলিস প্রার্থী এবিএম সিরাজুল মামুন, কল্যান পার্টি প্রার্থী রাশেল ফেরদৌস এবং ইসলামি আন্দোলন প্রার্থী মাওলানা মাসুম বিল্লাহ। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক গুঞ্জন রয়েছে যে, এড. তৈমুর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী সাংসদ শামীম ওসমানের সার্বিক ও আর্থিক সমর্থনে নির্বাচন করছেন।
এডভোকেট তৈমুরের পক্ষে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের শামীম গ্রুপের গোপনীয় কিন্তু সক্রিয় সমর্থন অব্যাহত থাকলে তার মেয়র পদে নির্বাচিত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।