মো:রমিজ আলী, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি(চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ক্যাডার মোঃ সাইফুদ্দিন আহমেদ অভির বিরুদ্ধে অপকর্মের অভিযোগ উঠে এসেছে তার নামে ডাকাতি-সহ ৫টা মামলা রয়েছে ।অভিযুক্ত অভির বিরুদ্ধে ডাকাতি, নারী নির্যাতন, ইয়াবা ব্যবসা ও জামায়াত বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছেন বলে দাবি করেছেন অনেকেই।তবে স্বৈরাচারী সরকার হাসিনার পতনের পরেও এলাকায় অভির দাপট বিরাজমান বলে জানা গেছে।
কারা ছাত্রলীগ ক্যাডারদের পুনর্বাসন করছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ শামীম বলেন, সরকার পতনের পর দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছিলেন সবাইকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য।সেই সুবাদে ছাত্রলীগ ক্যাডার সাইফুদ্দিন আহমেদ অভি ও রিপনকে আমরা ক্ষমা করে দিয়েছিলাম।কিন্তু কোনভাবেই তারা নিজেদের শোধরাতে পারছেনা।এলাকায় যুব সমাজের মধ্যে মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে।আর তার এসব অবৈধ ব্যবসা এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার টিকিয়ে রাখতে যুবদলের এক নেতা তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন।আমি বিষয়টি সীতাকুণ্ড মডেল থানায় অবগত করেছি।
আরেকটি বিষয় জানিয়ে রাখি ২০২২ সালে সীতাকুণ্ড পৌরসভার অবস্থিত মুনস্টার ক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যাওয়ার কারণে অভি আমার পরিবারকে চাপে ফেলে এবং আমাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল।এরপর আমি দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক ছিলাম। এছাড়া জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার দায়ে আমাকে একটি ঘরে বেঁধে রেখে মারধর করে মোবাইল, মানি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।তাদের সীমাহীন নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেক জামায়াত-বিএনপি ঘর ছাড়া হয়েছিল।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
অথচ এক যুবদল নেতা আওয়ামী আমলে তাদের থেকে সুযোগ সুবিধা ভোগ করায় এখন ছাত্রলীগ ক্যাডারদের জামাই আদরে রাখছেন।ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার পর ও যদি কেউ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে এবং তথ্য পাচার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করছি।নয়লে যুব সমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে।