বঙ্গ নিউজ বিডি প্রতিনিধি : রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পের আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ উপজেলার ১৫টি মৌজার এবং গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ২টিসহ মোট ১৭টি মৌজাতে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের অধীনে ডিজিটালাইজড ভূমি জরিপ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ০৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে ভূমি মন্ত্রণালয় হতে উক্ত ১৭টি মৌজায় জরিপ শুরুর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় । গেজেটকৃত ১৭ টি মৌজা হলোঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ উপজেলার ভোলানাথপুর মৌজা, ইউসুফগঞ্জ মৌজা, পশি মৌজা, মাইঝগাও মৌজা, হারারবাড়ী মৌজা, কামতা মৌজা, হীরনাল মৌজা, ব্রাক্ষণখালী মৌজা, রঘুরামপুর মৌজা, গুতিয়াব মৌজা, পিতলগঞ্জ মৌজা, বাঘবের মৌজা, টেকনোয়াদ্দ মৌজা ও কেন্দুয়া মৌজা এবং গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার পাড়াবর্থা মৌজা ও বড়কাউ মৌজা। ১৭ টি মৌজায় মোট জমির পরিমান ৮৯৪২.৭৩ একর এবং প্রায় ২৬ হাজারের অধিক রাজউকের প্লট রয়েছে।
ভূমি সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেন, বিগত সরকারের সময় ভূমি সেবা ছিল অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানি ছিল নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ অপবাদ থেকে বেরিয়ে এসেছে। ভূমি খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ঘরে ঘরে ভূমি নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণে কাজ করছে। তিনি বলেন, দালাল মুক্ত জনবান্ধব ভূমি সেবা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এজেন্ট নিয়োগ ও সহায়ক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। তিনি আরো বলেন আগামী এক বছরের মধ্যে ড্রোনের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পূর্বাচল সকল মৌজার জরিপ কাজ সম্পন্ন করা হবে।
ভূমি সচিব আজ নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের পূর্বাচল রাজউক সাইট কার্যালয় চত্বরে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমির রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর (ডি এল আর )এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ( রাজউক ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১৭টি মৌজার মধ্যে পাইলটিং হিসেবে মাইজগাও মৌজার খানাপুরি, বুজারত,তসদিক খতিয়ান, বিনামূল্যে বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডি এল আর মহাপরিচালক মহ: মনিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল( অব( মোঃ সিদ্দিকুর রহমান সরকার,ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু বকর ছিদ্দিক,জিয়াউদ্দিন আহমেদ ,পরিচালক মোঃ মমিনুর রশীদ ও ঢাকার জেড এস ও মো: মিজানুর রহমান।
গেজেটকৃত ১৭টি মৌজা হতে পাইলটিং হিসেবে প্রথমে রুপগঞ্জ উপজেলার মাইঝগাও মৌজাটিতে ডিজিটালাইজড ভূমি জরিপ শুরু করা হয়েছে। জিপিএস পিলার স্থাপন করে জিএনএসএস এর সহায়তায় পিলারের কোঅর্ডিনেট নির্ণয় করা হয় এবং ড্রোনের মাধ্যমে আর্থোমোজাইক ইমেজ প্রস্তুত করা হয়।
মাইঝগাও মৌজাতে জরিপ কার্যক্রমের স্তরভিত্তিক ধাপ অনুসারে ইতমধ্যে কিস্তোয়ার, খানাপুরী, বুঝারত, তসদিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মৌজাটির মোট এরিয়া ২৪৮.৮৭ একর যেখানে রাজউকের প্লট রয়েছে ১৭৮৬টি। ধারাবাহিকভাবে সকল ভূমি মালিকগণকেই খানাপুরী-বুঝারত-তসদিক খতিয়ান বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
পরে ভূমি সচিব ও রাজউক চেয়ারম্যান ভুমি মালিকদের মাঝে বিনামূল্যে খতিয়ান বিতরণ করেন।