বঙ্গনিউজভিডি ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ১৩ জন বাসিন্দা ঈদের আগের ২৪ ঘণ্টায় পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
এর মধ্যে একজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। বাকী ১২ জন বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় মারা যান। এছাড়াও প্রায় ১৩ জন গুরুতর আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে হরষপুর ইউনিয়নের এক্তারপুর গ্রামের চারজন মালয়েশিয়ার একটি এক্সপ্রেসওয়েতে, ছয়জন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীতে এবং বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের গোয়ালনগর গ্রামের এক শিশু ও ভিটিদাউদপুর গ্রামের এক যুবক দুর্ঘটনায় মারা যান। এছাড়াও বুধবার রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে উপজেলার সাটিরপাড়া গ্রামের এক যুবককে হত্যা করেন পার্শ্ববর্তী ধীতপুর গ্রামের ২-৩ জন যুবক।
নিহতরা হলেন- উপজেলার চম্পকনগর সাটিরপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২২), পাহাড়পুর ইউনিয়নের গোয়ালনগর গ্রামের বাড়ির পাশের গ্রামীণ সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চাপায় মো. রোহান উদ্দিন (৮) ও বুধবার দুপুরে নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে আউলিয়াবাজার থেকে ভিটিদাউদপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে ফেরার পথে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন শফিকুল (৩০)। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পিকআপ ভ্যান ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের আব্দুল মুমিনের ছেলে মজিবুর রহমান (২৭), তার ভাগ্নে আবু হোরায়রাহ (৯), ভাগ্নি মীম আক্তার (২০), তার চাচা জসিম উদ্দিন (৩৫) এবং চান্দুরা ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের হেলাল মিয়া(৩৫) ও মো. বাবুল মিয়া (৩০)। উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের এক্তারপুর গ্রামের চারজন মালয়েশিয়ার একটি এক্সপ্রেসওয়েতে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন আব্দুল করিমের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (৩০) ও তার ভাই মো. আরিফুল ইসলাম (২৩), মৃত মো. শাবুদ্দিনের ছেলে সোহেল মিয়া (২২), মৃত রহমত আলীর ছেলে আসকর আলী (৪০)।
বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কামরুল হাসান শান্ত জানান, এই পৃথক ঘটনাগুলোর জন্য এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিজয়নগরবাসীর ঈদ আনন্দে ভাঁটা পড়েছে।
বিজয়নগর থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলাম জানান, একটি হত্যাকাণ্ড ছাড়া বাকি ১২ জনের বিভিন্ন জায়গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। একই উপজেলায় এক সঙ্গে এমন পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিকভাবে সবার ঈদে আনন্দের পরিবর্তে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।