নিজস্ব প্রতিবেদক : কপ-২৯ সম্মেলনের আগেই জলবায়ু সুরক্ষায় অর্থ ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি মহাপরিকল্পনার দ্রুত সংশোধন, বর্ধিতকরণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশি তরুণদের সংগঠন ভলান্টিয়ার ফর এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল। বিদ্যুৎ-জ্বালানি মহাপরিকল্পনার দ্রুত সংশোধন ও বর্ধিত, জলবায়ু সুরক্ষায় অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে পাঁচ শতাধিক তরুণ জলবায়ু কর্মী। লোকসান ও ক্ষয়ক্ষতির তহবিলে ঘাটতি পূরণে এ দাবি করা হয়েছে। টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে জলবায়ুর জন্য ক্ষতিকর এবং ব্যয়বহুল জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ করারও দাবি তোলা হয়।
এই দিকে গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ এনভারমেন্টালিস্ট সোসাইটি এর ভলান্টিয়ার প্ল্যাটফর্ম ‘ভলান্টিয়ার ফর এনভায়রনমেন্ট-এর সহযোগিতায় আয়োজিত ক্লাইমেট স্ট্রাইক থেকে বিশ্ব নেতাদের কাছে এই দাবি জানান জলবায়ু কর্মীরা। ভলান্টিয়ার ফর এনভায়রনমেন্টের, নির্বাহী সমন্বয়ক শেখ শাহরুখ ফারহান বলেন, জলবায়ু সুরক্ষায় অর্থ ও বিদ্যুৎ জ্বালানি মহাপরিকল্পনার দ্রুত সংশোধন ও বর্ধিতকরণ, কপ ২৯ এর আগে দাবি বাংলাদেশি তরুণদের। এছাড়াও উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি করছে। তারা নব্য ঔপনিবেশিক শোষণ, যুদ্ধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে এই পৃথিবীকে ধ্বংস করছে। বছরে ৬৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিকে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। আর এই ভর্তুকি গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণকে উৎসাহিত করছে।
তরুণ জলবায়ু কর্মী মানবেন্দ্র মানব বলেন, “আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। এখনই আমাদের জ্বালানি নীতিগুলো ঢেলে সাজানোর সময় এসেছে এবং নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে রূপান্তর করতে হবে। বাংলাদেশের তরুণরা পরিবর্তনের জন্য আর অপেক্ষা করবে না—দেরি হওয়ার আগে এখনই এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের নেতাদের অবশ্যই সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে একটি টেকসই ও জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যায়।”
শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে তরুণ জলবায়ু কর্মীরা স্লোগান, প্ল্যাকার্ড, চিত্রকর্ম, গান, নাটক এবং পোস্টার প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে জলবায়ু সুবিচারের ও জলবায়ুতে অর্থায়নের দাবি জানান।