বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক: বিপ্লবের পরে বিপ্লবের ফসল ছিনতাই হয়ে যায় নাকি সেটা চিন্তা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
রবিবার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। সংবিধানের সংকট যদি হয়, রাষ্ট্রীয় সংকট যদি হয়, রাজনৈতিক সংকট যদি হয়, সেই সংকটের পিছে কী শক্তি আছে সেইটা আমাদের আগেই অ্যানালাইসিস করতে হবে। বিপ্লবের পরে বিপ্লবের ফসল ছিনতাই হয়ে যায় নাকি সেটা চিন্তা করতে হবে। সুতরাং রাষ্ট্রীয় সংকট যাতে সৃষ্টি না হয়, সাংবিধানিক সংকট যাতে সৃষ্টি না হয়, সেই সংকট সামনে রেখে পতিত ফ্যাসিবাদ যাতে সুযোগ নিতে না পারে সেই বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে। আমাদের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া নেই। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা জনতার দাবি। সিদ্ধান্ত সারাদেশে প্রশংসিত হয়েছে, সবাই গ্রহণ করেছে।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা জনতার দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গুলি করে ছাত্র মারার পর আওয়ামী লীগ আবার এই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পাবে কিনা তা জনতার আদালতে সিদ্ধান্ত হবে। ট্রাইব্যুনালে একটা সংশোধনী আনার কথা শুনছি। সংগঠন হিসাবে, রাজনৈতিক দল হিসাবে যদি গণহত্যার সাথে জড়িত হয় তাহলে রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও দলের বিচার হবে। সেই সংশোধনী যদি আইনে আনে এবং ট্রাইবুনালে যদি বিচার হয় সেই বিচারের ফলাফল কী হয় তখন দেখা যাবে। আমরা এখন কোনো ফয়সালা দিতে চাই না। গণহত্যাকারী কোন দল বাংলাদেশের রাজনীতি করতে পারবে কিনা তা আদালত ও দেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।
জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উদ্যোগে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত রাজধানীতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে শাহাদাতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা, প্রাম্যান্যচিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।