বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই সন্তানের জনক সোহেল খানের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী বর্তমানে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। অভিযুক্ত সোহেল উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের মাদারিয়া গ্রামের গোলাপ খানের ছেলে।
ধর্ষণের ওই ঘটনায় স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির বাড়িতে সালিশ বৈঠক হয়েছে। তবে সেখানে কোনো সমাধান না হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর পরিবার।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী বলেন, প্রতিবেশী দুই সন্তানের জনক সোহেল স্কুলে যাওয়া-আসার সময় নানাভাবে উত্ত্যক্ত আর কুপ্রস্তাব দিত। একদিন সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশে দোকান থেকে জিনিস (পন্য) কিনে ফেরার পথে একা পেয়ে সোহেল রাস্তা থেকে পাশের এক বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের চিত্র ভিডিও করেন। এরপর ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে ধর্ষণের ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় হুমকি দেয়। এরপর বিয়ের কথা বলে মাঝে মধ্যেই ধর্ষণ করতো। তার ধর্ষণের ফলে আমি এখন অন্তঃসত্ত্বা। এখন বিয়ের কথা বললেই সোহেল আমাকে মারধর করে। এছাড়া গর্ভের সন্তান নষ্ট না করলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তারা এলাকায় প্রভাবশালী।
স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, দিনমজুরের কাজ করে সংসার চলে। ঠিকমতো বাড়িতেও থাকা হয় না জীবিকার তাগিদে। মেয়ের মা কানে কম শুনে। সোহেল বাড়িতে বিভিন্ন সময় আসা-যাওয়া করতো। এ নিয়ে তাকে বহুবার নিষেধ করেছি। কিন্তু সে মানেনি। পরে জানতে পারি আমার মেয়ের সঙ্গে তার শারীরিক সর্ম্পকের কথা। এ নিয়ে তার পরিবারকে জানালে উল্টো আমার মেয়েকে সোহেল মারধর করতো। এছাড়া সোহেল প্রভাবশালী হওয়ায় হুমকি দিয়ে আসছে নানাভাবে। যার কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অভিযুক্ত সোহেল খানের ব্যক্তিগত মুঠোফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
উপজেলার ফলদায় ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম তালুকদার দুদু বলেন, মেয়ের অভিযোগে সম্প্রতি ভূঞাপুর পৌরসভার কাউন্সিলর আল-আমিন, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধার ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল জলিল খান, সাবেক ইউনিয়ন কমান্ডার আবুল কাশেম আজাদ, ইউপি সদস্য খাইয়ুল ইসলামসহ এলাকার মাতাব্বরদের নিয়ে গ্রাম্য সালিশে বৈঠক হয়। পরে সালিশে সোহেল ধর্ষণ ও বিয়ের প্রলোভনের কথা অস্বীকার করায় আমরা ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেই।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, শনিবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীসহ তার বাবা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টাও শুরু করেছে পুলিশ।