বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : টি-২০ ক্রিকেটে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে নেতৃত্বে বদল আনে ক্রিকেট বোর্ড। শুধু অধিনায়ক নয়, বদল আনে হেড কোচ পদেও।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে সরিয়ে এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় সাকিব আল হাসানের হাতে। হেড কোচ থেকে রাসেল ডোমিঙ্গোকে সরিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপের শ্রীধরন শ্রীরামকে। নতুন পরিবর্তনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হেরে যায় টাইগাররা। গতকাল ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ‘বাঁচা-মরার লড়াই’। সুপার ফোরে খেলতে মরিয়া সাকিব বাহিনী গতকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে খেলেছে। আফগান ম্যাচে ব্যর্থ দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ নাঈম শেখের পরিবর্তে সুযোগ পান সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সাব্বির টি-২০ খেলেন ৩৫ মাস পর। মিরাজ খেলেন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের পর। বাংলাদেশের ৭৭তম ক্রিকেটার হিসেবে টি-২০ ক্রিকেটে অভিষেক হয় ইবাদত হোসেনের। অভিষেকের প্রথম দুই ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে ফোকাস নিজের দিকে টেনে নেন। কিন্তু শেষ দুই ওভারে যথাক্রমে ২২ ও ১৬ রান দিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন দলকে। পরিবর্তনের ডাক দেওয়া বাংলাদেশ তিন পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নেমেও জিততে পারেনি। ২ উইকেটে হেরে বাংলাদেশ ছিটকে পরে এশিয়া কাপ থেকে। সাকিব বাহিনীর এমন বিদায় ভাবতে পারেনি কেউ! এই জয়ে সুপার ফোরে আফগানিস্তানের সঙ্গী হয়েছে শ্রীলঙ্কা। দুর্দান্ত ব্যাটিং করার পরও বাংলাদেশের এমন বিদায় কেউ ভাবেনি। তীরে এসে তরী ডুবালো সাকিবরা।
এদিকে, আগামী মাসেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর সেখানে ভালো করার চ্যালেঞ্জ অন্যরকম হবে বলে মানছেন অধিনায়াক সাকিব। তবে বিশ্বকাপ খেলতে অস্ট্রেলিয়ার বিমান ধরার আগে টাইগাররা যাবে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ডে। ধারণা করা হচ্ছে ইনজুরি প্রবণ সকল ক্রিকেটারই ফিট হয়ে দলে ফিরবেন এই সিরিজ দিয়ে।
যদিও ম্যাচ হারের পর গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বেশ কিছু জায়গাই নতুন করে কাজ করার তাগিদ দিলেন সাকিব। তিনি বলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে সাকিব বললেন, ‘গত ছয় মাসে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক খেলতে পারিনি। (এশিয়া কাপে) আমরা দুই ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক খেলেছি, যেখান থেকে আত্মবিশ্বাস পাবে দল। তবে অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জটা অন্যরকম হবে। আমরা সেখানে ভালো করতে চাইলে বেশ কিছু জায়গায় কাজ করতে হবে।’
গতকাল ম্যাচ হারের পর দুবাইয়ের মাটিতে অনেক দর্শকদেরই আবেগপ্রবণ হয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আবারো এশিয়া কাপে হতাশাজনক পারফর্ম টাইগারদের। তারপরেও দর্শকরা মাঠে আসেন বলে দর্শকদের এই সমর্থনের প্রাপ্যটা ফিরিয়ে দিতে চান সাকিব আল হাসান।
তার ভাষ্যে, ‘যেখানেই যাই না কেন, আমরা এমন সমর্থনই পাই। সমর্থকদের জন্য আমাদের খারাপ লাগে। আমাদের উত্থান-পতনের মাঝেও তারা আমাদের সমর্থন দিয়ে যায়। আশা করি তারা আমাদের এভাবে সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখবেন এবং আমরা যেন এই সমর্থনের প্রাপ্যটা ফিরিয়ে দিতে পারি।’