বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : বিশ্বকাপে কখনও দেখা না হলেও আজকের আগে পর্যন্ত দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল জার্মানি ও জাপান। ২০০৪ সালে জাপানকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল জার্মানি। ২০০৬ সালে অপর ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করে দুই দল। তারা চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। রানার্স আপও চারবার। তবে জার্মানি কখনও বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়নি জাপানের। আর জাপানও বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড পার হতে পারেনি এখনও।
গত বিশ্বকাপে এশিয়ার আর এক দল দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গিয়েছিল জার্মানি। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ জয়ের পর রাশিয়ায় হতাশাজনক পারফরম্যান্স করেছিল জার্মানি। ছিটকে গিয়েছিল গ্রুপ লিগ থেকেই। তারপর ইউরোতেও সাফল্য মেলেনি। সেই পরিস্থিতিতে এবারের বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়াতে চাইবেন হ্যান্সি ফ্লিকের ছেলেরা।
যদিও কাতারে আসার আগে জার্মানি একেবারেই ভালোফর্মে ছিল না। চলতি বছর ন’টির মধ্যে মাত্র দুটি ম্যাচে জিতেছে জার্মানি। গতবার বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্সের পর এবার বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামবে জাপান। ৮ মিনিটের মাথায় ডান দিক থেকে ইতোর ক্রস ধরে গোল করে যান জাপানি স্ট্রাইকার মাইডা। কিন্তু অফসাইড হয়ে যায়।
৪-২-৩-১ ফর্মেশন মাঠের মাঝখান শক্ত রেখে উইং দিয়ে আক্রমণ করছিল জাপানিরা। জার্মানির তুলনায় পজিটিভ ফুটবল বেশি খেলছিল জাপান। ২৮ মিনিটের মাথায় প্রথম সুযোগ পায় জার্মানরা। গুণ্ডগানের শট বাঁচিয়ে দেন জাপান গোলরক্ষক। দুমিনিট পরেই পেনাল্টি পায় জার্মানি। বক্সের মধ্যে ফাউল করেন জাপানের গোলরক্ষক গন্ডা। গোল করতে ভুল করেননি গুণ্ডগান।
বিরতির কিছুক্ষণ আগে জার্মানির মুসিয়ালার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। জাপান প্রথম কুড়ি মিনিট আধিপত্য দেখালেও খেলাটা ধীরে ধীরে ধরে ফেলল জার্মানরা। জাপানের সেরা বল প্লেয়ার কুবো একেবারেই নিষ্প্রভ থাকায় জার্মান ডিফেন্সে চাপ কমতে লাগল। জার্মানির কাই হাভার্টজ দ্বিতীয় গোল করলেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়।
আসলে জার্মান মিডফিল্ডার কিমিচ দুর্দান্ত ভূমিকা পালন করছিলেন। আক্রমণ এবং ডিফেন্সের যোগসূত্র ছিলেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জাপান কুবোর বদলি হিসেবে আর্সেনাল ডিফেন্ডার তমিইয়াসুকে নিয়ে আসে। ৫৬ মিনিটে আসানোকে নামায় জাপান। গুন্দগানের শট প্রতিহত না হলে ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারত জার্মানি।
৬৫ মিনিটে হফম্যান এবং গরেটসকাকে নামান জার্মান কোচ। জাপান কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে যায়। বেশ কিছু কর্নার আদায় করলেও উচ্চতায় জার্মানদের থেকে পিছিয়ে থাকায় সেট পিস কাজে লাগছিল না। ৭২ মিনিটে নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে জার্মানিকে রক্ষা করলেন ম্যানুয়াল নয়ার।
শেষ ১৫ মিনিট জাপান নিজেদের সেরা আক্রমণাত্মক ফুটবলার মিনামিনোকে মাঠে নিয়ে আসে। এক মিনিটের মধ্যে গোল শোধ করে দেয় জাপান। বাঁদিক থেকে আসা ক্রস গোলে ঠেলতে ভুল করেননি ডিয়ন। ৮২ মিনিটে ডান দিক থেকে একটা বল দুর্দান্ত রিসিভ করে বক্সে ঢুকে গোল করে গেলেন জাপানের আসানো। পেছন থেকে কিভাবে ফিরে আসা যায় দেখিয়ে দিয়ে গেল সামুরাই ব্লু।