বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৩.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তোলে ইংল্যান্ড। জবাবে সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৫.৪ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় লঙ্কানরা। এই জয়ে সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল তারা। আর চার ম্যাচ হেরে পয়েন্ট তালিকার ৯ নম্বরে নেমে এল জস বাটলারের দল।
১৫৭ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি লঙ্কানদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার কুশল পেরেরা। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসও। এই ইনফর্ম ব্যাটার সাজঘরে ফিরেছেন ১১ রান করে। ২৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা হলেও চাপে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা।
তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাদিরা সামারাবিক্রমা ও পাথুম নিশাঙ্কার ব্যাটে ঘুরে দাড়ায় শ্রীলঙ্কা। এই দুইজনই হাফ সেঞ্চুরি তোলে নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তারা অবিচ্ছিন্ন ১৩৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। নিশাঙ্কা অপরাজিত থেকেছেন ৭৭ রান করে। আর সামারাবিক্রমা ৬৫ রান করে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে প্রথম ৬ ওভারেই ৪৫ রান তুলে নেয় ইংল্যান্ড। তবে এরপরই মোড়ক লাগে ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপে। দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ডেভিড মালানকে ২৮ রানে ফিরিয়ে ইংলিশ শিবিরে প্রথম আঘাত দেন।
দলীয় ৫৭ রানে জো রুট রান আউটের ফাঁদে পড়েন। এরপর দলীয় ৬৮ রানে বেয়ারেস্টোকে ধনঞ্জয়া ডি. সিলভার ক্যাচ বানিয়ে প্যাভিলিয়নে পাঠান রাজিথা। দলীয় ৭৭ রানে লাহিরু কুমারার শিকারে পরিণত হন অধিনায়ক বাটলার। দলীয় ৮৫ রানে লিয়াম লিভিংস্টোনকে এলবির ফাঁদে ফেলে দ্বিতীয় শিকার করেন লাহিরু।
এরপর মঈন আলীকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বেন স্টোকস ৩৭ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু দলীয় ১২২ রানে মঈন আলীকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন ক্রিস ওকস। দলীয় ১৩৭ রানে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা স্টোকস বিদায় নেন লাহিরু কুমারার তৃতীয় শিকার হয়ে।
স্টোকসের বিদায়ের ১০ রান পর রানআউটের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আদিল রশিদ। শেষ উইকেট হিসেবে থিকসানার শিকারে পরিণত হন মার্ক উড। এতে ৩৩.২ ওভারে মাত্র ১৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায় গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কার হয়ে লাহিরু কুমারা একাই ৩টি উইকেট শিকার করেন। কাসুন রাজিথা ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ প্রত্যেকে পান ২টি করে উইকেট। আর মাহেশ থিকসানা একটি উইকেট লাভ করেন।