বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক:সিলেটের বিশ্বনাথে প্রবল বৃষ্টি আর ভারতের চেরাপুঞ্জির মেঘালয় থেকে আসা পানিতে তলিয়ে গেছে শত শত বাড়িঘর। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। তাই ঈদের আনন্দ তো দূরের কথা, এসব পানিবন্দি মানুষ তাদের শিশু-সন্তান ও গবাদি পশু নিয়ে প্রাণে বাঁচার চেষ্টায় ব্যস্ত।
অনেকেই বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে গেছেন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অথবা আশ্রয়ণ কেন্দ্রে। ঈদের আগের দিন থেকে উপজেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেলেও ঈদের দিন রাত থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তলিয়ে গেছে উপজেলার অধিকাংশ গ্রাম। প্রধান প্রধান সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জেলা ও উপজেলা সদরের সঙ্গে যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
প্রবল বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে লামাকাজী ইউনিয়নের ২৫ গ্রাম, খাজাঞ্চি ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রাম, রামপাশা ইউনিয়নের প্রায় ১২টি গ্রাম, অলংকারি ইউনিয়নের প্রায় ১৬টি গ্রাম, বিশ্বনাথ ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রাম, দৌলতপুর ইউনিয়নের প্রায় ১৩টি গ্রাম, দশঘর ইউনিয়নের প্রায় ৯টি গ্রাম, দেওকলস ইউনিয়নের প্রায় ১৭টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
খবর পেয়ে ত্রাণ নিয়ে লামাকাজী ইউনিয়নের বানভাসি মানুষের খোজ নিতে চলে যান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ত্রাণ নিয়ে পানিবন্দি মানুষের খোঁজ খবর নিচ্ছি। মানুষের পাশাপাশি আমরা গৃহপালিত পশুরও খাদ্যের ব্যবস্থা করব।
তিনি আরও বলেন, যতদিন এই বন্যা থাকবে ততদিন প্রত্যেকটি আশ্রয় কেন্দ্র ও বন্যা কবলিত প্রতিটা মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করা হবে।