বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক :সময় সঙ্গে বদলেছে মানুষের চিন্তাধারাও। জীবনকে সহজ করার জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে। একসময় পৃথিবীর কোথায় কি আছে, কি নেই ইত্যাদি আমাদের পক্ষে জানা অসম্ভব ছিল।
যা এখন আর অসম্ভব নয়। গোটা পৃথিবী এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে পৃথিবীর অতি আশ্চর্য সব জিনিসও আমরা দেখতে পাই।
সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় এক বয়স্ক নারীর ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে এই নারীর চোখ যেন একেবারে কোটরে ঢুকে গেছে এবং শরীরের চামড়া সম্পূর্ণ শুষ্ক হয়ে গেছে। আর সেখানেই দাবি করা হয়েছে এই নারীর বয়স ৩৯৯ বছর, অর্থাৎ তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী।
তবে বয়সের সংখ্যাটা অদ্ভুত না! ৩৯৯ বছর আবার কারো বয়স হয় নাকি! হিসাব বলছে, গত চার শতাব্দী ধরে বেঁচে আছেন এই নারী! আর এই হিসাব রীতিমতো অবাক করে দেওয়ার মতো।
এই খবরটি প্রকাশ্যে আসা মাত্রই তার সত্যতা যাচাই এর জন্য নানান খোঁজ খবর শুরু হয়। আর সেখান থেকেই জানা যায়, এই ছবিগুলো আসলে এমন এক বৌদ্ধ ভিক্ষুর যিনি নিজেই নিজেকে মমিতে পরিণত করেছেন। এই নারীর ছবি শেয়ার করেছেন @auyary13 একাউন্ট ব্যবহারকারী একজন টিকটকার।
সে ওই নারীর নাতনি। তিনি একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু, তার নাম লুয়াং ফো আই। তিনি থাইল্যান্ডে থাকেন এবং বর্তমানে হাসপাতালেই তার জীবন কাটান। তার আসল বয়স ১০৯ বছর। আর এই বয়সেও তিনি তার বেশিরভাগ কাজ নিজেই করেন।
বর্তমানে, বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির খেতাবের অধিকারী ১১৯ বছর বয়সী জাপানের কেন তানাকা। তিনি ১৯০৩ সালের ২রা জানুয়ারী জন্মগ্রহণ করেন।
এই ছবিগুলো আসল, কিন্তু মানুষের দাবি সম্পূর্ণ ভুল। কারণ একজন মানুষ যদি ৪০০ বছর বেঁচে থাকে তাহলে তো বিজ্ঞান মিথ্যে হয়ে যাবে। বিজ্ঞান নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ জাগবে। এখনো পর্যন্ত মানুষের সর্বোচ্চ বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০।
এ প্রসঙ্গে মস্কোর ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষক পিটার ফেডিচেভের বক্তব্য, ওষুধ ও সঠিক খাবারের সাহায্যে একজন মানুষকে দীর্ঘদিন সুস্থ রাখা সম্ভব তা ঠিকই, তবে সেক্ষেত্রেও তার আয়ু হয়তো বড়জোড় কয়েক বছর বাড়বে, কিন্তু চারশো বছর কোনোভাবেই সম্ভব নয়।