বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে আরো ১০ হাজার ৩৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ২০১ জন। বুধবার সকালে আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত করোনায় বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৮২ জন। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৫৮৬ জনে। সুস্থ হয়েছেন ১৫ কোটি ৪৪ লাখ ২৭ হাজার ৯০১ জন।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৪১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৮ জন। মারা গেছেন ৬ লাখ ১০ হাজার ৪৩৬ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২ কোটি ৭৯ লাখ ৪০ হাজার ৯১৮ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ২ কোটি ৮৩ লাখ ৭ হাজার ৮৩২ জন এবং মারা গেছেন ৩ লাখ ৩৫ হাজার ১১৪ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৬১ লাখ ৭৯ হাজার ৮৫ জন।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ কোটি ৬৬ লাখ ২৫ হাজার ৫৭২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৩১২ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৫০ লাখ ৬৮ হাজার ১৪৬ জন।
তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স, পঞ্চম স্থানে তুরস্ক, ষষ্ঠ স্থানে রাশিয়া, সপ্তম যুক্তরাজ্য, অষ্টম ইতালি, নবম আর্জেন্টিনা এবং দশম জার্মানি।
সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম। দেশে এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ২ হাজার ৩০৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১২ হাজার ৬৬০ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ লাখ ৪২ হাজার ১৫১ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।