বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ঘরের মাঠে গত মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বিশ্রামে পাঠানো হয়েছিল। সে সময়ে ধারণা করা হচ্ছিল, অন্যদের পরখ করে দেখতেই অভিজ্ঞ রিয়াদকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। ঘটনা পরিক্রমে জানা যায়, তাকে বাদই দেওয়া হয়েছে। তবে নানান কাঠখড় পুরিয়ে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা মেলে তার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সেই বিশ্রাম নামের পরিকল্পনা পরবর্তীতে বনে যায় ওপেন-সিক্রেট। একটা সময় বিসিবি থেকেও বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। এরপর বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজে দলে আবারও ডাক পান রিয়াদ। নানান আলোচনা-সমালোচনা শেষে জায়গা পান বিশ্বকাপ স্কোয়াডে। এবার বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে অন্যদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ঠিক নিজের সেরাটা দেখিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। তবে ম্যাচটি ১৪৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের মঞ্চে ফিরে এসে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর অবশ্য রিয়াদ ধন্যবাদ দিয়েছেন তাকে সমর্থন দিয়ে যাওয়া ভক্তদের, ‘যারা আমাকে ওই সময় সাপোর্ট করেছেন, আপনাদের মধ্য থেকে। তাদের ধন্যবাদ। আর যারা করেননি তাদেরও ধন্যবাদ।’
সেঞ্চুরির পর এক আঙুল উঁচিয়ে উল্লাস করেন রিয়াদ। এটি কোনো প্রতিবাদ কিনা জানতে চাইলে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার বলেন, ‘না, এটি কোন প্রতিবাদের ভাষা ছিল না। ১০০ হয়েছে। এটা শুধু সেলিব্রেশন ছিল। যদি জিততে পারতাম তাহলে বুনো উল্লাস করতাম।’
কঠিন সময়ে রিয়াদকে ওপরওয়ালা-ই সাহস জুগিয়েছেন বলে ওই সময় উল্লেখ করেন। তবে বিসিবির সঙ্গে তার সেই সময়কার সম্পর্ক ও দেশের ক্রিকেটে সাইলেন্ট কিলার হয়ে শত যাতনা সহ্য করার পেছনেও যে ঘটনা আছে সেটি তিনি এখনই বলতে চাইলেন না। সেসব তুলে রেখেছেন সঠিক সময়ের জন্য!
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও উঠে এলো রিয়াদের কথিত বিশ্রাম প্রসঙ্গ। জবাবে রিয়াদের ভাষ্য, বিশ্রামটা মনে হয় একটু বেশিই হয়ে গেছিল। এটা আমার হাতে নেই। এটা তাদের (নির্বাচকদের) সিদ্ধান্ত। আমার কাজটা আমি যদি সততা দিয়ে করতে পারি, এটাই আমার কাজ। আমি এটাই করতে চাই।
তিনি আরও যোগ করেন, যারা আমাকে ওই সময় সাপোর্ট করেছেন, আপনাদের মধ্য থেকে। তাদের ধন্যবাদ। আর যারা করেননি তাদেরও ধন্যবাদ।