অভিযুক্ত বাবু লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামের মৃত হামেদ আলীর ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের নটাখোলা গ্রামের এক সন্তানের জননী ওই গৃহবধূর সঙ্গে (২৬) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন বাবু। গত মে মাসের ২৯ তারিখ বিকেলে মোবাইল ফোনে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি। পরবর্তী সময়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাবু তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করেন।
এরপর বাবুর বিয়ের আশ্বাসে ওই গৃহবধূ তার স্বামীকে ডিভোর্স দেয়। পরে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বাবু তার দুই মাসের গর্ভের সন্তানটিকে নষ্ট করতে বলেন। কথা না শুনলে ওই গৃহবধূর চার বছর বয়সী ছেলে সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দেন বাবু।
এদিকে, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাবু। ওই যুবকের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ হাসান ইমাম সোনা মিয়া বলেন, ‘ছেলেটা প্রায় ১০ বছর ধরে মোটরসাইকেলে আমাকে আনা নেওয়া করে। আমার জানা মতে, সে খারাপ না। স্থানীয়দের মুখে এ বিষয়টি আমি শুনেছি।’
এ ব্যাপারে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।